সাংবাদিক : সুচারু মিত্র: বাংলাদেশে ইসকনকে বারে বারে টার্গেট করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ বারে বারে করা হয়েছে। সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরও সেখানে আক্রমণ চলছে, এই অভিযোগও বারে বারে উঠে আসছে বাংলাদেশ থেকে। আর এমন পরিস্থিতির মধ্যে এবার প্রতিবাদে ইসকন। রবিবার গোটা বিশ্বজুড়ে যেখানে যেখানে ইসকনের মন্দির রয়েছে এবং শাখা রয়েছে সেখানে সেখানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। যে ভাবে ইসকন ভক্তদের উপর হামলা হচ্ছে, আক্রমণ হচ্ছে তার প্রতিবাদেই এই প্রার্থনা কর্মসূচি ইসকনের তরফে। রবিবারের দিনভর বিশ্বের যে প্রান্তে ইসকনের শাখা রয়েছে সেখানেই চলবে এই প্রার্থনা পর্ব। এমন কি কলকাতায় ইসকন মায়াপুর ইসকনে তো বটেই। বেছে বেছে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ। আর সেই সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় কারাগারে রাখা, এই সমস্ত কিছু বিষয়কে সামনে রেখেই প্রতিবাদের এক নতুন পথ বেছে নিল ইসকন। সশস্ত্র কোন আন্দোলন নয়, প্রার্থনার মাধ্যমে প্রতিবাদ সংঘটিত করবে ইসকনের সদস্যরা ।এমনটাই ঠিক হয়েছে, ইসকনের বিশেষ মিটিংয়ে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যদিও পাল্টা বাংলাদেশ বিবৃতিতে জানিয়েছে বাংলাদেশের ইন্টারনাল ম্যাটারে ভারতের নাক গলানোর কোন প্রয়োজন নেই। শনিবারও নতুন করে বাংলাদেশে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর সেই পরিস্থিতিতে পুলিশ ধরপাকড় শুরু করে। ইসকনের দুই জন ভক্তকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ ।প্রায় তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে অস্থির পরিবেশ চলছে বাংলাদেশে । কবে সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসবে দেশ?… তা নিয়ে এখন আলোচনা বাংলাদেশের অন্দরেও।