ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: আপাতত অভিযুক্তরা ক্লাস করতে পারবেন এবং পরীক্ষাও দিতে পারবেন। নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর।
থ্রেট কালচারে (Threat Culture) অভিযুক্ত সাত পড়ুয়াকে গত 3 সেপ্টেম্বর কলেজ ছাত্রদের গভর্নিঙ বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তাদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয় ও তাদের পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে কলেজ কাউন্সিলও অভিযুক্ত তথা মামলাকারীদের ৬ মাসের (এক সেমেস্টার) জন্য সাসপেন্ড করে। ফলে মামলাকারীদের পরীক্ষা দেওয়া ও নিয়মিত ক্লাস করা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
মামলাকারীর আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, থ্রেট কালচার রেগিংএর সমান বা একই অভিযোগের মধ্যে পড়ে। যেকোনো মেডিক্যাল কলেজে র্যগিঙ বন্ধ করার জন্য এন্টি রেগিং কমিটি থাকার কথা। কিন্তু এই মেডিক্যাল কলেজে কোনো এধরনের কোনো কমিটি নেই। ফলে থ্রেট কালচারের মত অপরাধ বন্ধে কোনো যথাযথ পদক্ষেপ করা যায় না। অথচ দিনের পর দিন এই মেডিক্যাল কলেজে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল এর নিয়ম ভেঙে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ পেলেও কোনো এন্টি রেগিং কমিটি তৈরি না করে বা পরিবারের সঙ্গে কোনো কথা না বলে নিজেরাই নিজেদের মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ কাউন্সিল যা একেবারেই বৈধ নয়। এদিকে এই থ্রেট কালচারের ফলে মামলাকারীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কলেজ কাউন্সিল একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উত্তর বঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের আইনজীবী জানায়,অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ মোতাবেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনো চাপ বা বাধ্যবধকতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হয়নি। পাঁচ সপ্তাহের পর মামলার পরবর্তী শুনানি।