নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: ২৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই মেলা। সল্টলেকের বইমেলা প্রঙ্গনে এই মেলার আয়োজন করা হয়। অক্টোবর মাস থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে তার প্রস্তুতি। অক্টোবর মাসজুড়ে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। তবে এবারের বই মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন থাকবে কিনা তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে গিল্ডের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাতে উল্লেখ করা হয় বইমেলায় অংশগ্রহন করার জন্য প্রকাশক, পুস্তক বিক্রেতা, লিটল ম্যাগাজিন বিভাগকে তাদের নিজস্ব লেটার হেডে দরখাস্ত করতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে নাম, ঠিকানা, স্টল বা টেবিলের মাপ, মেলার সকল নিয়মবিধি মেনে চলার সম্মতিপত্র সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। দরখাস্ত জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ অক্টোবর। সূত্রের খবর, প্রায় এক হাজার তিনশ আবেদনপত্র জমা পড়েছে। গতবারের থেকে কিছুটা বেশি। এবার তার আশপাশেই থাকবে স্টলের সংখ্যা। তবে সূত্র মারফত জানা গেছে এবারের আবেদনের তালিকায় নাম নেই বাংলাদেশের প্রকাশকদের। এমনকী এও জানা গেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকেও এখনও পর্যন্ত কোনও আবেদনপত্র আসেনি পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিন্ডের কাছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, ২০২৫ সালের বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন কি থাকছে না? তবে এই নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চান না গিল্ড কর্তা ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়।মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে এখন অন্তর্বর্তী সরকার চলছে। বাংলাদেশে পুরোপুরি শান্ত বলা যাবে না,এখনও বিক্ষিপ্তভাবে অশান্তি লেগেই আছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের তরফে চিঠি না আসা পর্যন্ত কলকাতা বইমেলায় তাদের প্যাভিলিয়ন ‘অনিশ্চিত’ জায়গাতেই রয়েছে। তবুও এখনও বেশ কিছুদিন দেরি আছে বইমেলায়। তাই শেষ মূহুর্তে আবেদন আসে কিনা সেটাও সময়ই বলবে। তবে বাংলাদেশ ছাড়া আরও যেসব আবেদনপত্রগুলি এসেছে তা খুঁটিয়ে দেখে, আলাপ আলোচনা করে কোন প্রকাশক কোন স্টল পাবেন তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।