ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: এই মুহূর্তে ট্যাব দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য। ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। একাধিককে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়। এবার এই দুর্নীতিতে নাম জড়াল এক প্রাথমিক শিক্ষকের। পুলিশের জালে এখন সেই প্রাথমিক শিক্ষক-সহ ২।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির সময় পড়ুয়াদের পড়াশোনায় যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সেই কারণে অনলাইনে পড়াশোনার জন্য রাজ্য সরকার চালু করে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প। এই প্রক্লপের আওতায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়। পড়ুয়াদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায় সেই টাকা।
কিন্তু সেই টাকা বণ্টনেই ধরা পড়েছে দুর্নীতি। একাধিক পড়ুয়া ট্যাবের টাকা পায়নি বলে অভিযোগ। সেই টাকা গিয়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে। সেই নিয়ে তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশের সিট। রাজ্যের নানা প্রান্তে এই দুর্নীতির জাল বিস্তৃত। এই মূল উৎস উত্তর দিনাজপুরের পুরের চোপড়া। আর এই চোপড়া থেকেই এবার ফের গ্রেফতারি। শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানা এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ট্যাব দুর্নীতিতে। এদের মধ্যে একজন প্রাথমিক শিক্ষক। ধৃতদের বাড়ি চোপড়ায়।
জানা গিয়েছে, এই ট্যাব দুর্নীতিতে আর্থিক কেলেঙ্কারির শিকার প্রায় ১৯১১। এই টাকা কীভাবে নয়ছয় হল, এর প্রাথমিক ধারণা রয়েছে সিটের আধিকারকদের। স্কুলের সার্ভার হ্যাক করে ও পোর্টালের পাসওয়ার্ড চুরি করে এই দুর্নীতি করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের অনুমান ছিল, স্কুলের কেউ এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে।