সাংবাদিক : সুচারু মিত্র: সাড়ে ৩০০ বছরেরও বেশি পুরনো কলকাতা, আর সেই পুরনো কলকাতায় আদি ঐতিহ্য বা স্মৃতিসৌধ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। দর্শনার্থীদের কাছে এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল বরাবরই জনপ্রিয়। এই শহর কলকাতার তো বটেই এমনকি এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মানুষও আসেন এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর সৌন্দর্য চাক্ষুষ করতে,ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর গ্যালারি দর্শন করতে। আবার অনেক বিদেশি পর্যটকরাও আসেন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে। আর সেই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কতটা সুরক্ষিত?.. কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে বা কোন আপৎকালীন পরিস্থিতির তৈরী হলে, বা কোন জঙ্গি আক্রমণ হলে কিভাবে ভিক্টোরিয়াকে সুরক্ষিত রাখা যাবে তা নিয়েই চলল মহড়া। আর তাই বৃহস্পতিবার সকাল ন’টা থেকে দশটা এক ঘন্টা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল চত্বর এবং ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ভেতরে চল্য সিআইএসএফ (CISF) এবং এনডিআরএফ (NDRF)এর যৌথ মহড়া।
বিভিন্ন প্রবেশদ্বার দিয়ে ঢুকে পড়লো আধা সেনা। বাহির পথ দিয়েও কিভাবে তারা উদ্ধার করে পর্যটকদের বের করে নিয়ে আসবেন তা নিয়েই চলল মক ড্রিল। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে জঙ্গি হামলা হলে কিভাবে তাকে দমন করা যাবে সেটা নিয়ে হল এই মক ড্রিল। এক ঘন্টার এই মক ড্রিল ছিল একেবারে দেখবার মত। গোটা ঘটনার একটা নাট্যরূপ তৈরি করে চলল এই মক ড্রিল প্রক্রিয়া। আধা সেনা এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের তরফেই চলল এই মক ড্রিল। এমনিতেই নিরাপত্তা বেষ্টনীর দিক তরফে দেখতে গেলেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তাতেই মোড়া থাকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। আর এবার মক ড্রিল করে দেখে নেওয়া হল পুরনো এই স্মৃতিসৌধ কতটা সুরক্ষিত।