একের পর এক দূর্ঘটনা। প্রাণ হানিও ঘটছে এবার এর জেরর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসল পরিবহণ দফতর। ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলেছিলেন এই বৈঠকের কথা তারপরই বিভিন্ন বাস সংগঠনকে নিয়ে এই বৈঠক হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কোন মতেই আর কলকাতার রাস্তায় রেষারেষি বরদাস্ত করা হবে না
এদিন পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “যেভাবে লোক গাড়ি সব বাড়ছে তার নিরিখে কলকাতায় রাস্তা চওড়া হবার জায়গা নেই। রাজ্যে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ চালু আছে এটা দিয়ে এওয়ারনেস চলছে। অন্যান্য মেট্রো সিটির তুলনায় কলকাতায় এক্সিডেন্ট অনেক কম। যদিও এতে সন্তুষ্ট হলে হবে না”।
বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে যে কারণে এক্সিডেন্ট হয় সেগুলোকে চিহ্নিত করা তার সঙ্গে এওয়ারনেস বাড়ানো এবং
জনবহুল জায়গায় রেষারেষি করলে ড্রাইভারের বিরুদ্ধে আইনত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরিবহনমন্ত্রী বলেছেন “কিছু মানুষের প্রবণতা আছে আইন অমান্য করার। অনেকেই হেলমেট না পরে বাইক চালান সাথে আছে র্যাশ ড্রাইভ সিগন্যাল ব্রেক করা ড্রিংক এন্ড ড্রাইভ এগুলো থামালে এক্সিডেন্টও কমবে।”
বলা হয়েছে গোটা রাজ্যে পরিবহণ দফতর সেফ ড্রাইভ সেফ লাইভ নিয়ে কাজ করবে এবং বাস মালিকদের তাদের ড্রাইভার নিয়ে সচেতন হতে হবে। একই কথা বলা হয়েছে সংগঠনগুলিকেও।
তিনি আরও বলেছেন “আমরা আমাদের উইকনেস যা আছে সেগুলোকেও কাটিয়ে তুলব। আইন অমান্য করলে এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রাজীব কুমারও কিছু পদক্ষেপ নেবেন। বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শুধু নিয়ম করলে হবে না তাকে তো বলবত করতে হবে। অনেক জায়গায় এম্বুল্যান্স দাঁড় করানো থাকে কুইক ট্রিটমেন্টের জন্য। আগে ৪০০-৫০০ মানুষের এক্সিডেন্টে হত ডেথও। এখন সেটা ১৬৯.আমরা এটাও কমাতে চেষ্টা করব।”
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যা, তা হল বৈঠকে কমিশন প্রথা তোলার কথা বলা হয়েছে। কমিশন নেবে আবার ড্রাইভার রেষারেষিও করবে। এটা বদলাতে হবে। এইভাবে বাস চালাতে দেওয়া হবে না। এটা নিয়ে এসোসিয়েশনকে বলেছি বদলাতে। ফাইনাল ডিসিশন আসতে এক সপ্তাহ লাগবে। যে বেপরোয়া ভাবে চালাবে তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হবে। ড্রাইভার ঠিক করবে সে কিভাবে চালাবে। আয় করার জন্য বেপরোয়া ভাবে চালানো যাবে না। মালিককেও নজর রাখতে হবে। এই জায়গায় সরকার কড়া হবে। তিনি স্পষ্ট জানান পুলিশের জুলুম অভিযোগের সঙ্গে এক্সিডেন্টের সম্পর্ক নেই কারণ ট্রাফিক রুল ভেঙে চললেই এক্সিডেন্ট হয়। নতুন আইনে কি আছে সেটা দেখার এই মুহুর্তে দরকার নেই। সিএম জানেন কিভাবে কি করতে হবে। লক্ষ্য একটাই এক্সিডেন্ট কমানো।যেটা বেপরোয়া ভাবে চালানো হচ্ছে হেলমেট পরছে না হাইওয়েতে খালাসি দিয়ে ড্রাইভারি হচ্ছে এর বিরুদ্ধে আমরা কড়া পদক্ষেপ নেব। র্যাশ ড্রাইভিং কলকাতায় বন্ধ হবেই। কিন্তু এক্সিডেন্টের জন্য যত গুলো কারণ আছে সেগুলোর দিকে আলোচনা করেই নির্দেশিকা জারি হবে। এত জনবহুল শহরে রেষারেষি কি?আমরা বুলডোজারের সরকার না। কিছু মানুষ যদি ভাবে আমরা আইন ভেঙেই চলব কে কি করবে? সেটা আর বরদাস্ত হবে না।”