সাংবাদিক: সুচারু মিত্র : বাংলাদেশের সনাতনী হিন্দু নেতা চিনময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই উত্তাল বাংলাদেশ। রাজশাহী সিলেট ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তে চলছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বিক্ষোভ। উত্তাল এই পশ্চিমবঙ্গ। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিভিন্ন রকম ভাবে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। সনাতনী হিন্দুরা বারে বারে একত্রিত হচ্ছে। আগামী সোমবার পেট্রাপোল সীমান্ত ঘেরাও কর্মসূচি করতে চলেছে বিভিন্ন সনাতনী হিন্দু সংগঠন। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী দলনেতাও পেট্রাপোল সীমান্তের এই ঘেরাও কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন। সংখ্যালঘু হিন্দুদেরকে নিরাপত্তা দিতে হবে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী কে অবিলম্বে নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা তুলে নিতে হবে এই দাবিকেই সামনে রেখেই পেট্রাপোল বর্ডার সংলগ্ন এলাকাতেই সনাতনী হিন্দুরা সমাবেশ করতে চলেছে ডিসেম্বরের ২ তারিখ। সেই সমাবেশে উপস্থিত থাকতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা অংশ নেবেন এদিনের এই সমাবেশ কর্মসূচিতে। অন্যদিকে এইরকম একটি খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এবার চিন্ময় প্রভুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আগামী ৩০ দিনের জন্য প্রিজ করে দেয়া হলো অর্থাৎ তার একাউন্টের ওপর স্থগিতাদেশ রইল আগামী ৩০ দিনের জন্য। চিন্ময় প্রভুর অ্যাকাউন্ট থেকে কোন আর্থিক লেনদেন করা যাবে না। এমনকি ইসকনের ১৭ জন সদস্যের ক্ষেত্রেও একই রকম পদক্ষেপ করল বাংলাদেশের ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স। কার্যত কৌশলে চিন্ময় প্রভুদেরকে কোণঠাসা করার চেষ্টায় ডঃ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।