ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ ইসকনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, চিন্ময়কৃষ্ণকে সমর্থন করে বাংলাদেশ ইসকন। তাঁর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করা হয়নি। তাঁর সম্পর্কে কিছু কথা ‘স্পষ্ট’ করে দেওয়া হয়েছে। ইসকনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘চিন্ময়কৃষ্ণের অধিকার, বাংলাদেশে হিন্দুদের এবং তাঁদের ধর্মীয় স্থানগুলি রক্ষার জন্য তাঁর প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে ইসকন। পাশাপাশি দেশে হিন্দুদের অধিকার রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে ইসকন। আর এবার বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিষয়টি নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ প্রার্থনার ডাক দিল ইসকন। রবিবার, ১ ডিসেম্বর বিশ্বের সব ইসকন মন্দিরে বংলাদেশি হিন্দুদের রক্ষার আবেদন জানিয়ে বিশেষ প্রার্থনা প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হবে। ভক্তদের নিকটবর্তী ইসকন মন্দিরে আসার আহ্বান করা হয়েছে সেদিন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে ইসকনের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, ‘কয়েকমাস আগেই শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস, সদস্য গৌরাঙ্গ দাস এবং চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বহিষ্কার করেছে ইসকন বাংলাদেশ। তাই তাঁর কোনও রকম বক্তব্য কিংবা কার্যকলাপের দায় ইসকনের নয়।’ তার পর শুক্রবার সকালে সংগঠনের তরফে নতুন বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, চিন্ময়কৃষ্ণকে সমর্থন করে বাংলাদেশ ইসকন।