বিপাকে মুজিব কন্যা ! ইন্টারপোলে ‘রেড কর্নার নোটিস’ জারি

রিয়া দাস, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে পড়েই ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা( Sheikh Hasina)। বিশেষ সেনা বিমানে আসেন ভারতে। দেশ ছাড়ার আগেই ইস্তফা দিয়ে যান তিনি। তারপর থেকেই ভারতেই অজ্ঞাত ঠিকানায় রয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তারপর জল গড়িয়েছে অনেক দূর। মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ-সহ শতাধিক মামলা দায়ের মামলা দায়ের হয়েছে।ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে কেটেছে অনেক কটা দিন। এখন হাসিনাহীন বাংলাদেশ। তবে সেই বাংলাদেশে ১০ নভেম্বর পথে নামতে দেখা গেল হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে। মহম্মদ ইউনুসের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মিছিলে ক্ষমতাচ্যুত হাসিনার দল। এই কর্মসূচির আগে পুলিশের থেকে নেওয়া হয়নি অনুমতি। আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে নিছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় ঢাকার গুলিস্তানকে। মিছিল আটাকাতে তৎপর থাকে পুলিশ। দিকে দিকে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। মাথায় হেলমেট, হাতে ঢাল নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ঢাকার পুলিশ বাহিনীকে।এবার হাসিনাকে দেশে ফেরাতে বড় পদক্ষেপ করার ভাবনা ইউনুস সরকারের। শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হতে পারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

রবিবারই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, গত জুলাই-অগাস্ট মাসে ছাত্র আন্দোলনের সময় গণহত্যা চালিয়ে যারা পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের ধরার জন্য ইন্টারপোলের মাধ্যমে নেট কর্নার নোটিস জারি করা হবে। তারপর তাঁরা যেখানেই থাকুন না কেন, গ্রেফতার করে বাংলাদেশে আনার জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ করা হবে। শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ না করলেও, এই হুঁশিয়ারি যে তাঁর উদ্দেশ্যেই ছিল তা বলাই বাহূল্য। শুধুমাত্র হাসিনা নয় তাঁর সঙ্গে আওয়ামী লীগ দলের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধেও রেড কর্নার নোটিস জারি করতে পারে ইউনুস সরকার।

ইন্টারপোলের নোটিস জারি করার অর্থ ইন্টারপোলের যেসব দেশ সদস্য তারা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরতে তল্লাশি চালাবে ও ধরে এনে তারা দেশের হাতে তুলে দেয়। হাসিনার বিরুদ্ধে ১৯৮টি খুনের মামলা রয়েছে। ইতিমধ্যেই হাসিনা-সহ ১৪৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

রেড কর্নার নোটিস জারি যদি জারি হয় তবে অন্য দেশে থেকে কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে দেশে ফিরিয়ে আনা যায়। হাসিনার বিরুদ্ধে যদি রেড কর্নার নোটিস জারি হয়, তবে ভারত থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার। এর আগে শোনা গিয়েছিল যে হাসিনাকে ফেরাতে প্রত্যর্পণ চুক্তির পথে হাঁটতে পারে বাংলাদেশের নতুন সরকার। এই কথা শোনা গিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসের মুখেও। এবার ইন্টারপোলে রেড কর্নার নোটিসের সম্ভাবনা।