সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক : আচমকা কুণাল ঘোষের মুখে শোনা গেল জাস্টিস ফর দিলীপ ঘোষ! উপনির্বাচনের বিপুল জয়ের পর বসেছিলেন সাংবাদিক সম্মেলন। সেখানে স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধীদের কটাক্ষ করবেন কিন্তু এতো উলট পুরাণ। আচমকা বললেন জাস্টিস ফর দিলীপ ঘোষ! কিন্তু কেন?
কারণ বিজেপির প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ সিনিয়র নেতা। উনি সভাপতি থাকাকালীন কিছুটা ভোট বিজেপিতে এসেছিল কিন্তু ক্রমাগত ওনাকে বাকিরা অপমান করে তারক্ষমতা কেড়েছে। কিন্তু আজ তিনি এটা বুঝেছেন দল যেভাবে চলেছে তাতে আগামীতে ভরাডুবি হবে। তাই আমিও বলছি জাস্টিস ফর দিলীপ ঘোষ। মমতাকে নকল করে লাভ নেই এভাবে ভোটে জেতা যায় না সেটা দিলীপ দাও বুঝেছেন কারণ মানুষ নকল আসল বুঝে গেছেন তাই বিজেপি এভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে।’
বিজেপির এই ভরাডুবি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করে কুণাল বলেন ‘যারা কিছু সময় বিভ্রান্ত হয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন তারা ভুল বুঝে আবার টিএমসিকে ভোট দিচ্ছেন। এর আগে মোদীর ডেলি প্যাসেঞ্জারিতেঈ কাজ হয়নি। টিএমসির সাংসদ বেড়েছে। যে কোন ক্ষেত্রের নির্বাচনই হোক বিজেপি হারছে। আবার হেরে বিজেপি নেতারা বলেন এটা গুরুত্বপূর্ণ নয় অত তাহলে প্রচারে গিয়ে কেন বলেছেন এগুলো করব জিতে। তখন তো প্রচার র্যালি করেছেন। নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা! কিন্তু মানুষ আমাদের আশীর্বাদ করেছেন।’
কুণালের দাবি মানুষের পাশে থাকার তাগিদ সবার প্রথম অনুভব করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। পরে সেটাকে সবাই নকল করেন। বিজেপির এসব ভাবার বালাই নেই। করোনার সময় বিজেপি কোথায় ছিল? তবে আজ ওদের মমতা মডেলই কপি করতে হচ্ছে।
বিজেপির সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে এদিন কটাক্ষ করে কুণাল বলেন “সুকান্ত মজুমদার বলেছেন এত হেরেও ওরা নাকি ২০২৬ সালে ক্ষমতায় আসবে আমরা বলছি ৩০২৬ অবধিও আসবেনা কারণ তখনও টিএমসিই ক্ষমতায় থাকবে। বিজেপি সব জায়গায় স্ক্যাম করেছে। মমতার সঙ্গে মা বোনেদের আত্মার সম্পর্কে চক্রান্ত করে সেটা নষ্ট করা যাবে না। বাংলা আজ যা ভাবে বিজেপি পরশু ভাবে।”
এখানেই শেষ নয় আরও বলেন যে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতলে তখন বিজেপি বলে মানব না কিন্তু বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হলে সেটা গণতন্ত্র কিভাবে হয়ে যায় প্রশ্ন তোলেন কুণাল।
তবে এর পাশাপাশি তিনি জানান এই জয়ের পর আরও বেশি দায়িত্ব বিনয় উন্নয়ন বাড়বে। ভুল সংশোধন করে নিয়ে নতুনভাবে কাজ করা এই মানসিকতাকে বাংলার মানুষ গুরুত্ব দিয়েছে। মিডিয়ার একাংশের প্রচারে মানুষ গুরুত্ব দেয়নি। আগামীতে কাজের ধারা যে এভাবেই অক্ষুণ্ণ থাকবে তা স্পষ্ট করে দিলেন কুণাল ঘোষ।