সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- খাস কলকাতার মুকুন্দপুর এলাকায় সোনার দোকানে লুঠের চেষ্টা। বাধা দিতে গেলে গলায় কোপ দেওয়া হয় দোকানের মালিক সঞ্জয় সরকারকে। ব্যবসায়ীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে। গণপিটুনি দেওয়া হয় অভিযুক্তকে। স্থানীয়রাই অভিযুক্তকে তুলে দেয় পুলিশের হাতে। গুরুতর জখম অবস্থায় স্বর্ণব্যবসায়ীকে মুকুন্দপুরেরই একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসাধীন দোকানের মালিক। বর্তমানে ব্যবসায়ীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। মুকুন্দপুরের গীতাঞ্জলি জুয়েলার্স নামের একটি সোনার দোকানে ঘটে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনা। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত যুবক দীপঙ্কর পাল পেশায় নার্সিং কর্মী। মুকুন্দপুর এলাকারই একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত। স্বর্ণব্যবসায়ী সঞ্জয় সরকারের দোকানে ৩ দিন আগে গেছিলেন অভিযুক্ত যুবক। ১২ গ্রাম ও ৩ গ্রামের ২ টি সোনার চেন তিনি দেখেন। কয়েকদিন পর আসবেন বলে চলে যান। রবিবার অভিযুক্ত যুবক দোকানে ঢুকে আগের দিনের চেন গুলো দেখতে চান। সঞ্জয়ের গলায় সোনার চেন ছিল।সেটা দেখতে পেয়ে সঞ্জয়ের উপর হামলা করে। সোনার চেন ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে সঞ্জয়ের গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে। সবজি কাটার ছুড়ি দিয়ে কোপ মারা হয় বলে জানা গেছে। এরপরই সঞ্জয়ের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসে। সূত্রের খবর, শেয়ার বাজারে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা লগ্নি করেছিল ধৃত যুবক। সেখানে লোকসান হয়। এছাড়াও প্রচুর ধার-দেনা হয়েছিল অভিযুক্ত দীপঙ্করের। সেই জন্যই ডাকাতির পরিকল্পনা করে সে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ইস্ট ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার অরিশ বিলাল, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। নমুনা সংগ্রহ করা হয় সায়েন্টিফিক উইংয়ের তরফ থেকে। লালবাজারের গোয়েন্দারাও ঘটনাস্থলে যান। শুধুই কি লুঠের উদ্দেশ্যে খুন নাকি অন্য কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।