একের পর এক ঘটনা ঘটছে আর তার জেরে রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল গুলোর গায়ে লাগছে বদনামের দাগ। এবার ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে রোগীকে দেওয়া হল মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ!
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: এবার শিরোনামে চিত্তরঞ্জন বা কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ। রোগীকে কিনা দেওয়া হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ! ম্যালেরিয়ার সমস্যা নিয়ে গিয়েছিলেন ওই রোগী। আউটডোর থেকে যে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে আসার পর দেখা যায় তার এক্সপায়ারি ডেট আগস্ট ২০২৪।
ওষুধ কিনে আনার পর খেয়াল করতেই তাদের চোখে পড়ে এই মারাত্মক ঘটনা। প্রায় ৩ মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে যে ওষুধের মেয়াদের তা যদি কোন রোগী খান তাহলে তার কি পরিণতি হতে পারে তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু গাফিলতি কোথায়? প্রশ্ন তো থাকবেই।
কেন এই ডেট এক্সপায়ার করা ওষুধ গুলোকে রেখে দেওয়া হয়েছিল? শুধু তাই নয় এই ওষুধ কোন রোগীকে দিয়ে দেওয়ার মত কাজ কি একেবারেই অনিচ্ছাকৃত? নাকি এর আড়ালে রয়েছে অন্য কোন অভিসন্ধি? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চলছে জল্পনা।
অন্য এক রোগীর আত্মীয়, তিনি জানাচ্ছেন তিনিও প্রায় একই ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন। তার স্ত্রীয়ের জন্য ডাক্তার যে ওষুধ লিখে দিয়েছিল তার বদলে মেডিসিন বিভাগ থেকে দেওয়া হচ্ছিল অন্য ওষুধ, সন্দেহ হতে সেই ওষুধ নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতেই পত্রপাঠ তা নাকচ করেন তিনি। এবং রোগীর আত্মীয় ফের মেডিসিন বিভাগে যান দেখেন যিনি এই ওষুধ দিয়েছেন তিনি নেই অন্য একজন আছেন। গোটা বিষয় শুনে যিনি মন্তব্য করেন ঠিক আছে ভুল হয়েছে। হতেই পারে।রোগীর জীবন যখন বিপন্ন হতে পারে তখন এরকম মনোভাব যে আসলে বিপদ বাড়ায় তা বলাই বাহুল্য