আর তিনি হাঁটবেন না লাল পাহাড়ের দেশে। সবাইকে স্তব্ধ করে কবি অরুণ চক্রবর্তী পাড়ি দিলেন না ফেরার সেই দেশে।
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: প্রয়াত হলেন লাল পাহাড়ির দেশের স্রষ্টা কবি অরুণ চক্রবর্তী। শুক্রবার রাত একটা নাগাদ চুঁচুড়া ফার্ম সাইড রোডে তার বাসভবন সোনাঝুরিতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। চিকিৎসক এসে জানিয়ে দেন তিনি আর নেই। প্রয়াণকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। রেখে গেলেন স্ত্রী, দুই পুত্র, তদের স্ত্রী এবং নাতিদের। কবিকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন স্থানীয় বিধায়ক থেকে শহরের বইমেলা কমিটি এবং বিশিষ্টজনরা।
অরুণ বাবু শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করেছি চাকরি করতেন হিন্দুস্তান মোটরে। এর সঙ্গে পুরোদমে লেখালিখিও করতেন। তিনি পরিচিতি এবং খ্যাতি পেয়েছিলেন ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা, রাঙা মাটির দেশে যা’ লেখাটির মাধ্যমে যা পরে গান হয়ে লোকের মুখে মুখে ফিরেছে এবং আজও এই গান তুমুল জনপ্রিয়। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও অরুণের পরিচিতি তৈরি করে দেয় এই গান। বাংলার লোকসংস্কৃতি নিয়ে চর্চা করতে ভালোবাসতেন অরুণ। সময় পেলেই ঘুরতেন পাহাড়, জঙ্গল এবং আদিবাসী এলাকায়। অরুণ চক্রবর্তী মানেই লাল পোশাক, সঙ্গে কাঁধে ঝোলা ব্যাগ। সবাইকে তিনি বুড়ো বলে সম্বোধন করতেন। ছোটদের সঙ্গে দেখা হলে দিতেন চকোলেট।
গতকাল তিনি কলকাতার মোহরকুঞ্জে যে জঙ্গল মহল উৎসব চলছে সেখানে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফেরার পর মধ্যরাতে ঘটে এই ঘটনা। মূলত করোনার পর থেকেই কবির ফুসফুসে সমস্যা দেখা গিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। শ্যামপুকুর ঘাটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে তার।