জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন থেকে লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে হয়েছে প্রচুর বিতর্ক। এবার সেটাই হবে চিকিৎসকদের পরীক্ষাতেও
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: এবার থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের পরীক্ষারও লাইভ স্ট্রিমিং হবে। কেন্দ্রীয় ভাবে রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় এই সম্প্রচারের ব্যবস্থা করছে এবং সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই সম্প্রচার দেখতে পাবেন। সেই সঙ্গে প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার নজরদারিও থাকবে। পরীক্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ক্যামেরাবন্দি হবে। সেই ফুটেজ এক বছরের জন্য সংরক্ষণ করে রাখবেন কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বা ডিরেক্টরদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা গেছে এই সম্প্রচারের গোটা বিষয়টার ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা নজর রাখবেন। সমস্তা পরীক্ষার প্রতিটি মুহূর্ত বন্দী হবে সিসিটিভি ফুটেজে। যা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে। নাহলে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ফলাফল প্রকাশ করা হবে না বলেও রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে থ্রেট কালচার নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন কিঞ্জল নন্দ, অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদাররা। সেখানে তারা অভিযোগ করেছিলেন, থ্রেট কালচার চালানো বহু জুনিয়র ডক্তার পরীক্ষায় পাশ করার যোগ্য নয়। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে বলা হয়েছিল যে পরীক্ষায় যাতে কেউ ঘাড় ঘোরাতেও না পারে তার ব্যবস্থা হবে এই আবহে এবার রাজ্য সরকার নির্দেশ দিল, এবার থেকে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকবে সিসিটিভি।
শুধু তাই নয় প্রশ্নপত্রও প্রতি পরীক্ষার এক দিন আগেই ডাউনলোড করে রাখবেন কর্তৃপক্ষ। সেই প্রশ্নপত্র ছাপানোর সময়ে শুধু অধ্যক্ষ, ডিরেক্টর বা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত আধিকারিক উপস্থিত থাকতে পারবেন। ছাপানোর প্রক্রিয়াও সিসিটিভির নজরদারিতে হবে
জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের সদস্যরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও এই পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারা।