নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের ১২০,জন পরীক্ষার্থীর খাতা উধাও। এমনই চঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। বাংলার বহু ছাত্র ছাত্রী উচ্চশিক্ষার জন্য ঐতিহ্যময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে দেড়শোটিরও বেশি কলেজ। সেই কলেজগুলিতে পড়াশোনা করেন বহু সংখ্যক ছাত্রছাত্রী। সেখানে এমন ধরণের ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন। এর আগে নম্বর হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠলেও একেবারে খাতা হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ এই প্রথম বলে মত শিক্ষকমহলের। জানা গেছে,তিনজন পরীক্ষকের কাছে ছিল সেই খাতা। তার মধ্যে একজন কোঅর্ডিনেটরের কাছে খাতা জমা দিয়েছিলেন। সেখান থেকে খাতা হারিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ । আর বাকি দুজনের কাছ থেকেও খাতা হারিয়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ ।কীভাবে তাঁদের কাছ থেকে এতগুলো উত্তরপত্র হারিয়ে গেল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এখন কীভাবে ওই সব পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার মূল্যায়ন হবে, তা নিয়ে কিছুটা চিন্তায় পড়েছে বিশ্ববিদ্যলয় কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ যে কলেজে এই ঘটনাটি ঘটেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই কলেজ কর্তৃপক্ষকেই মূল্যায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা বলেছে। জানা যাচ্ছে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে, প্রাথমিকভাবে দুটি প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে কর্তৃপক্ষের তরফে। এক, অন্য বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে অথবা ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে খাতা হারিয়ে যাওয়ার অভিযুক্ত তিন পরীক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের কথা ভাবছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এমনকি তাঁদের সার্ভিস বুকে এই কথা উল্লেখ করা হবে বলে সূত্রের খবর। খাতা হারিয়ে যাওয়ার এই বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।