উপনির্বাচনেও রাজ্যের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে দোষারোপ পাল্টা দোষারোপের পালা অব্যাহত। দুই দলই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে দ্বারস্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশনের। সোমবার, প্রচারের শেষদিনের সকালেই বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কমিশনে হাজির তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-হাড়োয়া উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বিজেপি নেত্রী তথা বসিরহাট লোকসভা নির্বাচনে পদ্ম প্রার্থী রেখা পাত্রকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তি করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যা নিয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। এবার ভোটের প্রচারে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্ত হলো তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ কলকাতার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর দফতরে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, কুণাল ঘোষ ও জয়প্রকাশ মজুমদার। প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে বিজেপি নেতা তথা রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতিনিধি দলের পক্ষে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘গত ৯ তারিখ, বাঁকুড়ার তালডাংরায় একটি নির্বাচনী সভায় বিরোধী দলনেতা বাংলাদেশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন। যে বক্তব্য রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদ্বেগজনক। এই বক্তব্য প্ররোচনামূলক।
‘ কুণাল ঘোষের অভিযোগ, ‘শুভেন্দু অধিকারির এই মন্তব্যের ফলে রাজ্যে দাঙ্গা লাগলে তার দায় তাঁকে (শুভেন্দু অধিকারী) নিতে হবে।’ তবে এই মুহূর্তে যেহেতু রাজ্যের বেশকিছু জায়গায় (যে সব এলাকায় ভোট রয়েছে) আদর্শ আচরণবিধি বলবৎ রয়েছে। তাছাড়া কমিশনের নির্দেশিকাতেও উল্লেখ রয়েছে নির্বাচনী প্রচারে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার। সেই কথা মনে করিয়ে কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজাদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। শুভেন্দু অধিকারী কে সেন্সর করতে হবে। শুভেন্দু অধিকারীর ভাষণের একটি প্রতিলিপি সহ একটি পেন ড্রাইভ ও কমিশনের কাছে জমা দিয়েছেন তৃণমূল প্রতিনিধিদল। সোমবারই বিকাল পাঁচটায় শেষ হচ্ছে প্রচারের সময়সীমা। এদিকে ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে বিজেপির করা অভিযোগের এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয় নি কমিশন। ফলে প্রচার শেষ হওয়ার ছয় ঘন্টা আগে জমা দেওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগে কমিশন কতটা কি ব্যবস্থা নেবে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।