ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পর এবার নয়া বিপাকে আদানি গ্রুপের চেয়ারপার্সন গৌতম আদানি। ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনী ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ট ব্যবসায়ী গৌতম আদানির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।ভারতের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত পেতে ভারত সরকারের আধিকারিকদের ২৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনল আমেরিকার আদালত। একই অভিযোগে গৌতম আদানির ভাইপো সাগর আদানির বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
অভিযোগ, ভারতের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত পেতে মরিয়া আদানি গোষ্ঠী ভারত সরকারের আধিকারিকদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। ওই প্রকল্পের বরাত পেলে আগামী ২০ বছরে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার লাভের মুখ দেখত আদানি গোষ্ঠী। সেই প্রকল্পের জন্যই ভারতীয় আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়া হয়েছে। এতে আদানির পাশাপাশি অভিযুক্তদের তালিকায় আছেন তাঁর ভাইপো সাগর আদানি-সহ ৭ জন। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের সিইও বিনীত জৈনও। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গৌতম ও সাগর দু’জনের বিরুদ্ধেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আমেরিকার প্রশাসন।
আদালতের নথির বরাতে রয়টার্স খবর সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে ,গৌতম আদানি ও সাগর আদানির বিরুদ্ধে একজন বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। প্রসিকিউটররা এই পরোয়ানা বিদেশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাছে হস্তান্তর করার পরিকল্পনা করেছেন।
প্রসিকিউটররা জানান, আদানি ও আদানি গ্রিন এনার্জির আরেকজন নির্বাহী, সাবেক সিইও ভিনিত জৈন দুর্নীতির বিষয়টি গোপন করে ঋণদাতা ও বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩০০ কোটি ডলারের বেশি ঋণ ও বন্ড সংগ্রহ করেন।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, কিছু ষড়যন্ত্রকারী ব্যক্তিগতভাবে গৌতম আদানিকে ‘নুমেরো উনো’ এবং ‘দ্য বিগ ম্যান’ সাংকেতিক নামে ডাকতেন। আর সাগর আদানি তার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ঘুষের সুনির্দিষ্ট তথ্য ট্র্যাক করতেন।
এদিকে নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের ইউএস অ্যাটর্নি অফিস থেকে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের প্রায় ২২৩৭ কোটির বেশি ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া এবং বিনিয়োগকারী ও ব্যাংকের কাছে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে আদানি এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে।