সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক – সাইবার প্রতারণার নতুন হাতিয়ার নিয়ে নাজেহাল দেশবাসী। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রতারণা রুখতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করলেও অভিযোগ কমছেই না। এই নয়া মোডাস অপারেন্ডিই হয়ে উঠেছে সাইবার অপরাধীদের কাছে প্রতারণার গুটি। তবে এই অপরাধ আর দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এর শিকড় দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে বিস্তার পেয়েছে। এই প্রতারণা চক্র মূলত কম্বোডিয়া, মায়ানমার, ভিয়েতনাম, লাওস ও থাইল্যান্ড থেকে চক্রকে পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে। একদম ক্যাসিনো স্টাইলে সাজানো সেখানকার অফিস। প্রতি নিয়ত চলছে মানুষকে ঠকানোর কাজ।
কর্পোরেট অফিসের মতো একসঙ্গে অনেকজনের বসার জায়গা। ল্যাপটপ, কম্পিউটার ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির হাজারো ডিভাইস রয়েছে অফিসের যত্রতত্র। যা দেখে ভারতের প্রশাসনের মাথায় হাত। এই অত্যাধুনিক অফিস থেকেই চলছে জালিয়াতি চক্র। জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ১৪০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকেরা বলে একটি সূত্র মারফত জানা গেছে। যে পরিমাণ প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। তবে এই দেশের একাধিক ভুয়ো সংস্থা এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বলে অনুমান ইডির। সম্প্রতি সাইবার জালিয়াতিতে বেঙ্গালুরুর এক নিম্ন আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। সেই মামলায় ৮ জনকে গ্রেফতারও করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তে উঠে আসে প্রতারণার মাথারা হংকং এবং থাইল্যান্ড থেকে জালিয়াতি চালাচ্ছে। এঁদের সাহায্য করছে দেশের কিছু লোকজন। তাঁদের সহায়তাতেই চলছে প্রতারণা। এই প্রতারকদের খোঁজ চালাচ্ছে তদন্তকারীরা।