নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নিজেকে আরও শক্তিশালী করল ভারত। ভারতীয় সেনার অস্ত্রভাণ্ডারে যুক্ত হল নয়া এক ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। নিঃসন্দেহে শত্রু দেশগুলিকে এবার কিছুটা হলেও আতঙ্কে থাকতে হবে। ডিআরডিও- এর (DRDO) পক্ষ থেকে শব্দের চেয়েও দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হল। দেড় হাজার কিলোমিটার দূরত্বও অনায়াসে অতিক্রম করে যেতে পারবে এই ক্ষেপণাস্ত্র। শনিবার ওড়িশার উপকূল থেকে তারই সফল উৎক্ষেপণ হল। যা ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে আরও মজবুত করল।
এক্স হ্যান্ডলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং লিখেছেন, ‘এটা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত এবং তাৎপর্যপূর্ণও, কেননা এর ফলে আমাদের দেশ সেই গুটিকয়েক দেশের একটি হয়ে উঠল যাদের হাতে এমন জটিল ও অত্যাধুনিক সেনা প্রযুক্তি রয়েছে।’ এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতীয় সেনাকে আরও শক্তিশালী করল বলা চলে। ভারতীয় সেনায় এই ধরণের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ যুক্ত হওয়ায় শত্রু দেশকে সহজেই দমিয়ে রাখা যাবে। দেশেরও সুরক্ষাও এতে মজবুত হয়।
জানা যাক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র আসলে কেমন? কি তার কাজ?
বিজ্ঞানীদের কথায়, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি শব্দের থেকে ৫গুণ বেশি দ্রুত গতিতে ছুটতে পারবে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি। ড. এ পি জে আবদুল কালাম মিসাইল কমপ্লেক্সের গবেষণাগারে তৈরি হয়েছে এটি। ডিআরডিও-এর সহযোগিতায় এই মিসাইল সফল ভাবে তৈরি করা হয়েছে। ওড়িশার উপকূল থেকে তার এই সফল উৎক্ষেপণ হলেও ক্ষেপণাস্ত্রটি এই প্রথম নয়, এর আগেও নানা ডোমেনে পরীক্ষিত হয়েছে এই মিশাইলটি । সব পরীক্ষায় সফল হয়েছে এই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের উন্নয়ণের মুকুটে আরও একটি পালক যোগ করল বলা যেতেই পারে।