বইমেলা আসলে বইপ্রেমীদের শ্রেষ্ঠ উৎসব। আগামী ২৮ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ৪৮ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। সেই উপলক্ষ্যে শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে আয়োজিত হল সাংবাদিক সম্মেলন। প্রশ্ন উঠছে বর্তমানের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কি বাংলাদেশের স্টল থাকবে?
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: এই প্রথম বার বইমেলাতে থিম কান্ট্রি হিসাবে অংশ নিতে চলেছে জার্মানি। উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন এবারে অংশ গ্রহণ করছে গ্রেট ব্রিটেন আমেরিকা ফ্রান্স ইটালি স্পেন পেরু কলম্বিয়া লাতিন আমেরিকার মত অন্যান্য দেশ৷ এর পাশাপাশি থাকবে দিল্লি উত্তরপ্রদেশ মধ্যপ্রদেশ হরিয়ানা পাঞ্জাব তামিলনাড়ু আসাম ঝাড়খন্ড কেরালা উড়িষ্যা সহ বিভিন্ন জায়গার প্রকাশনা সংস্থারা।
আয়োজকরা জানাচ্ছেন বাংলাদেশের স্টল থাকবে কিনা সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। এই মুহুর্তের পরিস্থিতিতে যথোপযুক্ত সরকারি নির্দেশের অপেক্ষা করছেন তারা। তবে এবার প্রায় ১৩০০ নতুন স্টল আবেদন করেছে।
উল্লেখ্য ২০২৪ সালের বইমেলায় এসেছিলেন ২৭ লাখ বইপ্রেমী এবং বইবিক্রির পরিমাণ প্রায় ২৩ কোটি টাকা। আগামী বইমেলাতেও অনেক নতুন প্রকাশক আবেদন করেছেন কিন্তু বইমেলা প্রাঙ্গনের পরিসর একই থাকার কারণে স্টল সংখ্যা বাড়ানো যাবে না। ফলে অনেক কাউকেই সুযোগ দেওয়া যাবে না।
১৯৭৬ সালে জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুর্ট বইমেলা থেকে প্রথম বইমেলা আয়োজনের চিন্তা আসে। পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ডের প্রতিষ্ঠাতারা ফ্র্যাঙ্কফুর্ট বইমেলায় যেতেন নিয়মিত এবং পরে ফ্র্যাঙ্কফুর্ট বইমেলার তরফেও প্রতিনিধিরা আসত্বন। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জার্মান ভাইস কনসাল মিস্টার সিমোন ক্লাইনপাস এবং কলকতারা গ্যোয়েটে ইন্সটিটিউটের ডিরেক্টর অ্যাস্ট্রিড ভেগে। সব মিলিয়ে এই বইমেলাও যে ভীষণ ভাবে উপভোগ্য হবে তা বলাই বাহুল্য।