সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক: আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বিস্তর এলাকাজুড়ে জারোয়া (Jarawas) জনজাতির বাস। ১৯৫১ সালে দেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন হলেও এতো বছরে ভোটাধিকার ছিল না জারোয়াদের। প্রাচীন এই জাতি প্রথম ভোটাধিকার পেলেন। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের প্রাচীন জনগোষ্ঠী জারোয়াদের নির্বাচনে অন্তর্ভুক্তরা করা হল। এই গোষ্ঠীর ১৯ জনের নাম আপাতত ভোটার তালিকায় জায়গা পেয়েছে। এই প্রথম গণতন্ত্রের উৎসবে মাতবেন তাঁরা। ভারতের নির্বাচনের ইতিহাসে এই সিদ্ধান্ত দৃষ্টান্ত তৈরি করল বলে মত বিভিন্নমহলের। বাকি প্রাপ্তবয়স্ক জারোয়াদেরও ক্রমে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যে ১৯ জনের নাম তালিকায় উঠেছে তাঁরা ফর্ম-৬ পূরণ করে বুথ স্তরের আধিকারিকের কাছে জমা দেন বলে জানা গেছে। এঁদের মধ্যে প্রথম ফর্মটি নিজে গ্রহণ করেন আন্দামান ও নিকোবর প্রশাসনের মুখ্য সচিব কেশব চন্দ্র। দক্ষিণ আন্দামানের জিরকাটাং এলাকার জারোয়া অধ্যুষিত একটি গ্রামে গিয়ে তিনি নিজে ওই ফর্মটি জমা নেন। ভারতে বিভিন্ন জনজাতির বসবাস। এই সব জনজাতির মানুষকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ করে তোলার চেষ্টা দেশে নতুন নয়। তবে পুনরায় করে প্রয়াস শুরু হয়েছে। খেয়াল রাখা হচ্ছে এর ফলে তাঁদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও জীবনযাপনের পদ্ধতিতে যেন প্রভাব না পড়ে। সেইভাবেই ভোটার তালিকায় নাম উঠল ১৯ জন জারোয়ার। দক্ষিণ আন্দামানের জেলা নির্বাচনী আধিকারিক অর্জুন শর্মা, জারোয়াদের ব্যক্তিগত এবং সাংস্কৃতিক গোপনীয়তা ও স্পর্শকাতরতাকে সম্মান জানিয়ে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেছেন। জারোয়াদের ভোটাধিকারের প্রক্রিয়াটি সফল করে তুলতে আন্দামান আদিম জনজাতি বিকাশ সমিতি এবং জনজাতি উন্নয়ন দফতরের ভূমিকা যথেষ্টই রয়েছে।