এক কবীরকে শোকজ করা হয়েছে এখনও ২৪ ঘন্টা পার হয়নি। এর মধ্যেই আরেক কবীরের প্রশ্নে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে শাসক দল। অবশ্য অস্বস্তি এড়াতে বিধানসভায় নিজেই হাল ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর এর তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে তৃণমূল পরিষদীয় দল। শোকজ করা হয়েছে হুমায়ূন কবীর কে। তিনদিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় আরেক হুমায়ূন কবীরের প্রশ্নে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায় যায় শাসক দলের বিধায়কদের। যদিও সভায় উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি সামলে নেন।
এদিন বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ক মোশারফ হোসেন কেন্দ্রের প্রস্তাবিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে একটি প্রশ্ন করেন। সেই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় পশ্চিম মেদিনীপুর এর ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবীর অতিরিক্ত প্রশ্ন করার জন্য অধ্যক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে অনুমতি দেন। অধিবেশন কক্ষে ডেবরার বিধায়ক হুমায়ূন কবীর বলেন, ওয়াকফ বিল নিয়ে তৃণমূল সাংসদরা প্রতিবাদ করছেন। কিন্তু সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে তৃণমূল সাংসদদের সংখ্যা মাত্র ৫০। তিনি জানতে চান এই বিল নিয়ে সম মনোভাবাপন্ন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা দলের (তৃণমূল কংগ্রেসের) পক্ষ থেকে করা হচ্ছে কি না ? ডেবরার বিধায়ক যখন এই প্রশ্ন করছেন তখন দেখা যায় ট্রেজারি বেঞ্চের অনেকেই উসখুস করছেন। তাঁকে (হুমায়ূন কবীরকে) থামাতে উদ্যত হন। সেই সময় সভায় উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী হাতের ইশারায় তাঁদের নিরস্ত করেন। হুমায়ূন কবীরের প্রশ্ন শেষ হলে অধ্যক্ষের অনুমতি নিয়ে বলতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পরিষ্কার জানান, “এটা দলের পলিসি ডিসিশন। আর দলের পলিসি ডিসিশন এখানে বলার মতো বিষয় নয়। তাই এখানে তিনি বিষয়টি জানাবেন না। ওয়াকফ বিল নিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো কে কি করবে সেটা তাদের ব্যাপার।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ই সংসদে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই বিল হলো ডেলিবারেট অ্যাটেমপ্ট টু ম্যালাইন আ পার্টিকুলার সেকশন।”