নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এখন নজর সারা পৃথিবীর। নানা দিক থেকে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিন ও ভারতের সঙ্গে আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, ইউক্রেন থেকে গাজার যুদ্ধ পরিস্থিতি, বিশ্বের সামরিক শক্তির নিয়ন্ত্রণ-সহ একাধিক বিষয়ের ভবিষ্যত কী হবে, তা নির্ভর করবে এই নির্বাচনের ফলাফলের উপর। আর সেই নির্বাচনে কে জয় লাভ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন সেদিকেই তাকিয়ে সারা পৃথিবী। মঙ্গলবার আমেরিকায় নির্বাচন। রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প অথবা ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিসের জয়ের ভিত্তিতে এলোমেলো হয়ে যেতে পারে সমস্ত সমীকরণ। হয়তো ভিন্ন খাতে বইতে পারে বিশ্বের একাধিক ঘটনাপ্রবাহ।
নির্বাচনী সমীক্ষা অনুযায়ী, টানটান যুদ্ধে খানিকটা এগিয়ে ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিস। কিন্তু অন্যদিকে ২০২০ সালের হারের ক্ষত এখনও দগদগে। চার বছর আগের ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তাতে সতর্ক রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগের দিন চার বছর আগেকার ফল নিয়ে নয়া সুর শোনা গেল রিপাবলিক শিবিরের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলায়।
রবিবার পেনসিলভ্যানিয়ায় প্রচারে গিয়ে তিনি জানান, ২০২০ সালের ফলাফল ভুয়ো ছিল। তাঁর একেবারেই উচিত হয়নি, ওই ফলের ভিত্তিতে হোয়াইট হাউস ছেড়ে চলে যাওয়া। পাশাপাশি ট্রাম্প এই ইঙ্গিতও দিলেন, নির্বাচনের দিন সময়মতো বেরবেন বাড়ির বাইরে। ট্রাম্পের এই ঘোষণায় আশঙ্কা ডেমোক্র্যাট শিবিরে। তারা মনে করছেন রিপাবলিকান প্রার্থী আগাম নিজের জয় ঘোষণা করে দিতে পারেন। তবে তা ঠেকাতে প্রস্তুত প্রতিপক্ষ কমলা হ্যারিস শিবির। অন্যদিকে ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্য ”আমি যেদিন হোয়াইট হাউস ছেড়েছি, সেদিন থেকেই দেশে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে শুরু করেছে। এখন মনে হচ্ছে, হোয়াইট হাউস ছেড়ে বেরিয়ে আসা উচিত হয়নি আমার। আমরা খুব ভালো ফল করেছিলাম।” এনিয়ে অবশ্য প্রতিপক্ষ কমলা হ্যারিসের দাবি, ”আমরা এই পরিস্থিতির জন্য তৈরি যে উনি এবারও জেতার জন্য সংবাদমাধ্যম থেকে জনতা সকলকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবেন। কিন্তু আমরাও থেমে থাকব না। পালটা দিতে প্রস্তুত।” সবমিলিয়ে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে টানটান উত্তেজনা। মঙ্গলবার ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয় সেটাই চান আমেরিকার বাসিন্দারা।