সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- প্রায় ৬ মাস হতে যায় টালমাটাল পরিস্থিতি বাংলাদেশে। এরই মধ্যে শহরে এলেন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধি দল। সোমবার অর্থাৎ ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয়োৎসব। ৫৩ বছর ধরে এই দিনটিকে পালন করে আসছে দুই দেশ। এই বছর ফোর্ট উইলিয়ামে বিজয়োৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না কোনও মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবার। মূল অনুষ্ঠানে তাঁরা উপস্থিত থাকবেন কিনা তাই নিয়েও ছিল সংশয়। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে বিজয়োৎসবের সকাল থেকে ফোর্ট উইলিয়ামে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল। রবিবার রাতের বিমানে দমদম বিমানবন্দরে নামেন তাঁরা। বাংলাদেশের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ আনিনুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিজনরা কলকাতায় আসেন। এদিন বিমান বন্দরে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের তরফে তাঁদের স্বাগত জানানো হয়। ইস্টার্ন কমান্ডের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করা হয়।
১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর। এই দিনটি অর্থাৎ ১৬ই ডিসেম্বর ভারতীয় সেনা ও বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পাকিস্তানের ৯৩ হাজার সেনা আত্মসমর্পণ করেছিল। ১৯৭২ সাল থেকে এই দিনটিকে বিজয় দিবস হিসাবে পালন করা হয়। প্রতি বছরই কলকাতায় বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রতিনিধি পাঠানোর জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে এই বছর বাংলাদেশের পরিস্থিতির নিরিখে কোনও মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবার আসবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় থাকলেও আন্তর্জাতিক স্তরে চাপ সৃষ্টি হওয়ার জন্য ইউনূস সরকার প্রতিনিধি দল পাঠাতে বাধ্য হয়। যদিও অন্যান্য বছর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে কথা বলতে দেওয়া হলেও এবছর যে তা হচ্ছে না তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ইস্টার্ন কমান্ডের তরফে। সোমবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও।