সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: সেমিনার রুমে ধর্ষণ করে খুন করার কোন চিহ্ন সেই রুমে নেই এমনটাই তথ্য উঠে আসছে। কোন প্রতিরোধের চিহ্ন মেলেনি, কোন ধস্তাধস্তির প্রমাণ নেই। মোট ১২ পাতার রিপোর্ট। ১২ নম্বর পাতার শেষ দুটি লাইনে চাঞ্চল্য। এই দুটি লাইনে উল্লেখ আছে যে, যে জায়গায় দেহ পাওয়া গেছিলো, সেই সেমিনার হলের যেখানে দেহ পড়েছিল, যে ম্যাট্রেস এর ওপর দেহ পড়েছিল, সেই ম্যাট্রেসের মধ্যে কোন ধস্তাধস্তির প্রমাণ বা চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
গত ১৪ই আগস্ট দিল্লি থেকে সিএফএসএলের বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সেমিনার হল খতিয়ে দেখেন।সঙ্গে ঘটনাস্থল খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন তাঁরা। করিডর থেকে শুরু করে লিফট, করিডোর সমস্ত জায়গাগুলি তিন ঘণ্টা চল্লিশ মিনিট ধরে পরীক্ষা করেন তাঁরা।
১২ পাতার ওই রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে যে, কোনও ধ্বস্তাধস্তির চিহ্ন নেই সেমিনার রুমে। রুমের মধ্যে থাকা ম্যাট্রেসে শুধু তিলোত্তমার মাথা এবং পেটের নিচের জায়গায় রক্তের দাগ পাওয়া গেছে এর থেকে স্পষ্ট নির্য়াতিতার দেহ অন্য কোনও জায়গা থেকে নিয়ে এসে ওইখানে শোয়ানো হয়। যার ফলে নির্দিষ্ট ২জায়গাতে রক্তের দাগ মিলেছে।
সেক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী দল এবং পরে কালে সিবিআই যে তদন্ত করল, সেই তদন্তে কি গোড়াতেই গলদ? ওই সেমিনার রুমকেই ক্রাইম সিন বলে এতদিন দেখানো হলো কেন? সেটাও কি তথ্যপ্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে?আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর প্রথম থেকেই নির্যাতিতার পরিবার ও আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের বড় অংশ অভিযোগ করছিলেন, এই ঘটনায় অনেক তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। এই রিপোর্ট সেই অভিযোগকেই মান্যতা দিল