শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিম-২০১৪ -এর আওতায় আনার দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হল। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহনের আবেদন শিক্ষক সংগঠনগুলির।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: সমস্ত স্তরের স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিম-২০১৪ -এর আওতায় আনার দাবিতে স্বাস্থ্য দপ্তরের কমিশনার এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, পর্ষদ সভাপতি ও শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তরে ডেপুটেশন দিল শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ । এছাড়া তাঁরা তাঁদের দাবিপত্র রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্য সচিব, অতিরিক্ত মুখ্য সচিব, মাদ্রাসা বোর্ডের প্রেসিডেন্ট, প্রাইমারি বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছেও পাঠিয়েদিয়েছেন। পাশাপাশি এই দাবি নিয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী অথবা সচিব পর্যায়ে কারোর সাথে সুবিধামতো সাক্ষাৎ ও ডেপুটেশনের প্রদানের দিনক্ষণ চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। কোন উত্তর না পেলে বারবার এই আবেদন জানানো হবে বলে মত শিক্ষক সংগঠনটির। তাতে কাজ না হয় তাহলে আবেদনকারীরা আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে নবান্নে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার পথে হাঁটবেন তাঁরা। ডেপুটেশনে যে কথাগুলি উল্লেখ করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের ওয়েবসাইটে (wbhealthscheme.gov.in) ১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ এর তথ্য অনুযায়ী ওয়েস্ট বেঙ্গল হেল্থ স্কিমের(WBHS) অধীন কর্মী সংখ্যা ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৮৮৪ জন। মোট ক্লেইম মেটানো হয়েছে ১৬৯ কোটি ৫ লক্ষ ১৭ হাজার ১৪৭ টাকা। প্রত্যেক কর্মচারীর ১ বছরের মেডিকেল এ্যালাউন্স =৫০০×১২=৬০০০ টাকা।
ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিমের অধীনে থাকার জন্য ১ বছরে মেডিকেল এ্যালাউন্স বাবদ সরকার কর্মচারীদের থেকে কেটে নেয় ৬০০০টাকা ×২২৩৮৮৪ জন কর্মচারী = ১৩৪ কোটি ৩৩ লক্ষ ৪ হাজার টাকা।ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত গত ১৬ বছরে সরকারের কাছে ক্লেইম করা হয়েছে ২৫৬ কোটি ৭৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫৯৮ টাকা।শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারীর বক্তব্য, ” যদি সব টাকা সরকার দিয়ে দেয় তাহলেও এই তথ্য দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, কর্মচারীদের মাত্র ২ বছরের মেডিকেল এ্যালাউন্সের অর্থ কেটে নিয়ে সেই অর্থে কর্মচারীদের এই পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৪ বছরের মেডিকেল এ্যালাউন্সের অর্থ সরকারের লাভ হয়েছে। তাহলে বিদ্যালয় স্তরে থাকা শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, লাইব্রেরিয়ানদের মেডিকেল এ্যালাউন্সের পরিবর্তে ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিম-এর অধীনে আনলে সরকারের আর্থিক কোনো ক্ষতি হবে না। বরং লাভ হবে। এর ফলে সরকারের জনপ্রিয়তাও বাড়বে। প্রয়োজন শুধু বাস্তবসম্মত হিসেব এবং সদিচ্ছা। “