ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক
ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে বিহারে ঘুরতে গিয়েছিলেন মহিলা। আর বাড়ি ফেরেননি। সেই ঘটনার তদন্তে আগেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। জুলাই মাসের এই ঘটনা ঘটলেও এখনও তার কিনারা করতে পারেনি রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা। ফলে এবার রাজ্য পুলিসের ডিজিকে বিহার পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে মহিলাকে খুঁজে বার করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চ।
গত জুলাই মাসে জুলাই মাসে এক ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে বিহারের গয়ার বিষ্ণুপদ মন্দিরে বেড়াতে গিয়েছিলেন বহরমপুরের বহিরগাছি এলাকার বাসিন্দা মিনতি মণ্ডল। ১০ জুলাই তারিখে ওই ট্রাভেল এজিন্সির তরফে মিনতি মণ্ডলের ছেলে গয়ানাথ মণ্ডলকে জানান হয় তাঁর মা নিখোঁজ। এরপরই তিনি ওই ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ জানান। কিন্তু এরপর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও মায়ের কোনও খোঁজ না মেলায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। যেহেতু অন্য রাজ্যে ঘটনাটি ঘটেছে, তাই বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে সিআইডির অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিটকে তদন্তভার দেয় হাইকোর্ট। এদিন মামলার শুনানিতে সিআইডির তরফে রিপোর্ট পেশ করে জানান হয়, সংবাদ পত্রে বিজ্ঞাপন, টিভি রেডিওতে বিজ্ঞাপন সহ একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। বিহারে বিষ্ণুপদ থানার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু মহিলার এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি।
বিষয়টি শোনার পরই সিআইডির পাশাপাশি বিহার পুলিসকেও উপযুক্ত তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি ঘোষ। তিনি নির্দেশে জানান, অবিলম্বে রাজ্য পুলিসের ডিজি বিহার পুলিসের ডিজির সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। এডিজি সিআইডিকেও বিহারের গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মহিলাকে খুঁজে বার করতে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি ফের মামলার শুনানি। ওই দিন ফের তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশের নির্দেশে দিয়েছে আদালত।