নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : দক্ষিণ ভারতের সুপারস্টার চিরঞ্জীবীরমুকুটে যুক্ত হল নতুন এক পালক। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাঁকে স্বীকৃতি দিয়েছে, ‘ভারতীয় চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সফল অভিনেতা ও নৃত্যশিল্পী’ হিসেবে।তেলুগু চলচ্চিত্রের এই প্রতিভাবান শিল্পী সিনেমার পর্দার পাশাপাশি দর্শকদের হৃদয়েও জায়গা করে নেন তাঁর অভিনয়ের মাধ্যমে। ৪৫ বছরের কেরিয়ারে ১৫৬টি ছবিতে অভিনয় করেছেন দক্ষিণী এই সুপারস্টার । তাঁর অভিনীত সিনেমায় ৫৩৭টি গানে প্রায় ২৪ হাজারটি নাচের স্টেপ রয়েছে, যা এই অভিনেতাকে বিশ্ব রেকর্ডের শীর্ষে দিল। ১৯৭৮ সালে রূপলী পর্দায় যাত্রা শুরু করেন চিরঞ্জীবী । কেরিয়ারের শুরুতে পার্শ্বচরিত্র ও খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। তবে তাঁর জীবনের মোড় ঘুরে যায় ১৯৮৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘খাইদী’ সিনেমায়।
এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই সুপারস্টারকে। একের পর এক ব্লকবাস্টার ছবি যেমন ‘যমুডিকি মোগুদু’, ‘ঘরানা মোগুদু’, এবং ‘জগদেকা বীরুদু অতিলোক সুন্দরী’ তাঁকে দক্ষিণ ভারতের সুপারস্টারের তকমা দেয় তাঁকে। তেলুগু সিনেমার সাফল্যের পাশাপাশি বলিউডেও পা রাখেন এই অভিনেতা তবে দক্ষিণের মত সফলতা সেখানে পাননি তিনি।প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে ‘ঘরানা মোগুদু’ প্রথম তেলুগু ছবি হিসেবে ১০ কোটি টাকা আয় করে। এই একই বছরে মুক্তি পাওয়া ‘আপদবন্ধবুদু’র। এই সিনেমার জন্য চিরঞ্জীবী নাকি ১.২৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক পান, যা তাঁকে সে সময়ের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত ভারতীয় অভিনেতায় পরিণত করে। এরপর ২০২৩ সালে তাঁর অভিনীত ‘ওয়াল্টেয়ার বীরাইয়া’র জন্য তিনি ৫০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। চিরঞ্জীবী এখন কাজ করছেন ‘বিশ্বম্ভরা’ নামে একটি বিগ বাজেটের সিনেমায়, যা প্রায় ২০০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হচ্ছে বলে জানা গেছে। আর এই সফলতা তাঁকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের স্বীকৃতি দিল। তাঁর এই স্বীকৃতিকে ‘অফিসিয়ালি অ্যামেজিং’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বিচারক রিচার্ড স্টেনিং জানান, ‘চিরঞ্জীবীর প্রতিটি চলচ্চিত্র এবং নাচের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করার পরে আমরা এই স্বীকৃতি দিচ্ছি।’চিরঞ্জীবীর এই কৃতিত্ব শুধু ভারতীয় চলচ্চিত্রের জন্য নয়, সারা বিশ্বের সিনেমাপ্রেমীদের জন্য এক গর্বের বিষয় বলে মত সিনেপ্রেমীদের।