বড়দিন মানেই কেক। আর অনেকেই কেক এখন বাড়িতেই বানান। অনেকেই পছন্দ করেন নো এলকোহল কেক। বড়দিনের কেকে মূলত প্লাম কেককেই প্রাধান্য দেওয়া হয়।
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: আগেকার দিনের কেক কিন্তু এমনটা ছিল। তখন মূলত ওটস, ড্রাই ফ্রুটস, মধু এমনকি মাংস অবধি দিয়ে বানানো হত। ষোলশ শতাব্দীর দিকে ওটস আর মাংসর জায়গা নেয় ময়দা, ডিম আর মাখন। আর এলকোহল বা কোন ফলের রসে ভিজিয়ে রাখা ড্রাই ফ্রুটসও মেশানো শুরু হয়।সেখান থেকেই ফ্রুট কেকের উদ্ভব। সেইসময় কিসমিস, কারেন্ট জাতীয় সব কিছুকেই প্লাম বলা হত, তাই এই কেক কেই প্লাম কেক বলা হয়।
উপকরণ—
দেড় কাপ ময়দা, ১/২ কাপ নরম মাখন , ৩/৪ কাপ গুড়ের পাউডার বা পাউডার ব্রাউন সুগার, ২ টেবিল চামচ কোকো পাউডার, এক চিমটি নুন, সোয়া চা চামচ দারচিনি পাউডার, গ্রেট করা জায়ফল সামান্য, সোয়া চা চামচ আদা পাউডার, এক কাপ ঈষদুষ্ণ দুধ। একটা কমলা লেবুর রস, ড্রাই ফ্রুটস , ১ চা চামচ বেকিং পাউডার , ১/২ চা চামচ বেকিং সোডা, আধ চা চামচ ভিনিগার , কমলা লেবুর খোসা কোরানো এক চা চামচ
কিভাবে বানাবেন—
প্রথমে কমলা লেবুর রসের মধ্যে কিছুটা ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে এক টেবিল চামচ ব্রাউন সুগার আর অল্প দুই টেবিল চামচ জল দিয়ে ১০ মিনিট মতো ফুটিয়ে রাখতে হবে।এবার ময়দা, কোকো পাউডার , বেকিং পাউডার, বেকিং সোডা,ও সমস্ত মশলা চালুনি দিয়ে চেলে নিন। ঈষদুষ্ণ দুধে ভিনিগারটা মিশিয়ে নিন, একটু হালকা ছানা কাটবেবে দুধটা, এটাই বাটার মিল্ক হবে।
আরও একটি পাত্রে মাখন আর চিনি একসাথে ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে ওর মধ্যে দিয়ে দিন ভিনিগার দেওয়া দুধটা। এবার মিক্সড করুন ময়দা। একটা ফ্ল্যাট স্প্যাচুলা বা কাঠের খুন্তি দিয়ে আট লেখার মতো করে ময়দাটা মিশিয়ে নিন। ময়দা একবারে পুরোটা দেবেন না। দুই ভাগে দেবেন। এবার কমলা লেবুর রস দিয়ে ফোটানো ড্রাই ফ্রুটস গুলো দিয়ে দিন। ড্রাইফ্রুটস দেওয়ার পর সব শেষে কমলা লেবুর খোসা কুরোনো মিশিয়ে দিন এবং গ্রিজ করে রাখা বেকিং প্যানে মিশ্রণটি দিন। কেকের জন্য ওভেনকে প্রিহিট করতে হবে। এবার ১৭০ ডিগ্রি টেম্পারেচারে ৪০- ৪৫ মিনিট বেক করতে হবে। বের করার আগে একটা টুথ পিক ঢুকিয়ে দেখে নেবেন, টুথপিক পরিষ্কার থাকলে বুঝবেন কেক রেডি। আর না হলে আরও ১০-১৫ মিনিট বেক করুন। ব্যস আপনার কেক রেডি।