প্রাথমিকে বিরাট রদবদল। এবার থেকে প্রাথমিক স্তরেই শুরু হচ্ছে সেমেস্টার সিস্টেম। ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। ২০২৫ সাল থেকেই শুরু হবে এই পদ্ধতি বলে জানায় পর্ষদ। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন মেলার পরই সিদ্ধান্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: বছর শেষে বড় ঘোষণা করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০২৫ সাল থেকে প্রাথমিকে শুরু হতে চলেছে সেমেস্টার পদ্ধতি। সেই পদ্ধতি অনুযায়ী বছরে একবার নয় দু’বার পরীক্ষায় বসতে হবে শিক্ষার্থীদের। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম ঘোষ এ ব্যাপারে জানান, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার জন্য ছোট থেকেই তৈরি করা হবে। আর সে জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত সেমেস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। শিক্ষাবর্ষকে দুই ভাগে ভাগ করা হবে। জুন মাসে হবে প্রথম পরীক্ষা। জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত একটি ও জুলাই থেকে ডিসেম্বর অবধি আর একটি ভাগ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রথম থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে গোটা শিক্ষাবর্ষের সময় প্রায় ৮০০ ঘণ্টা। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে গোটা শিক্ষাবর্ষে ১০০০ ঘণ্টা। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে একটা সেমেস্টারে ৩৭৬ ঘণ্টা করে ও তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে একটা সেমেস্টারে ৪৬০ ঘণ্টা কাটাতে হবে। লিখিত পরীক্ষা হবে ৬০ ঘণ্টার। তবে প্রাক প্রাথমিকের পড়ুয়ারা এই আইন বহির্ভূত। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারীর বক্তব্য, “আগামী ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এবার প্রাথমিক স্তরে সেমেস্টার প্রথা। হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড যেভাবে দেওয়া হয়েছে তার সঙ্গে এই ব্যবস্থার মিল নেই। তা পুরোপুরি পরিবর্তন করতে হবে। শিক্ষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা করে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে পরিকল্পনা মাফিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত ছিল। প্রাথমিকে সবার আগে প্রয়োজন শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষক, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মী এবং কম্পিউটার। আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা দরকার।” শুধুমাত্র পরীক্ষায় নয় বদল আনা হচ্ছে পাঠ্যক্রমেও। পাশাপাশি প্রাথমিকে গোটা রাজ্যেই পরীক্ষার একটাই পেপার হবে। সেই প্রশ্নপত্র ঠিক করে দেবে পর্ষদ। শিক্ষার্থীদের মার্কশিটে নম্বরের পাশাপাশি ক্রেডিট পয়েন্ট দেওয়া হবে। কারণ ক্রেডিট পয়েন্ট থাকলে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন বলে মত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকদের।