নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: ২৫ ডিসেম্বর সান্তার দৌলতে বাচ্চাদের ইচ্ছেপূরণ হয়। আর ধরণায় বছরভর সান্তার অপেক্ষায় দিন গুনতে থাকে কচিকাচারা। দক্ষিণ কলকাতায় ক্রিসমাসের আগে ক্রিসমাসের আনন্দে মেতে উঠেছিল পথশিশুরা। পথশিশুদের হাতের তৈরি জিনিস দিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল ক্রিসমাস মার্কেটের। যেখানে দেখা মিলছে অসাধারণ সব হস্তশিল্প। করোনা অতিমারির সময় ওলোট-পলোট হয়ে যায় মানুষের জীবন। এই সময় ফুটপাতে যাদের জীবন কাটে তাদের দুবেলা অন্ন জোগাড় করতে গিয়েই হিমসিম খেতে হচ্ছিল। ওই সময় পড়াশোনা বিষয়টাই অনেক দূরে চলে যায় তাদের জীবন থেকে। এই সময় সার্দান এভিনিউ, গড়িয়াহাট, টালিগঞ্জ এলাকার অসহায় শিশুদের জীবনে আলোর দিশা দেখান সার্দান এভিনিউ এর বাসিন্দা মিত্রবিন্দা ঘোষ। সার্দান এভিনিউ, গড়িয়াহাট, টালিগঞ্জ এলাকার অসহায় পথশিশুদের তিনি শিক্ষার পাঠের পাশাপাশি কো কারিকুলামের পাঠও দিতে শুরু করেন। যা তাদের জীবনকে নতুন মোড় দিয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের উৎসবে মেতে উঠবে সারা পৃথিবী।
শহর কলকাতার পার্ক স্ট্রিট এক অন্য রূপ নেবে। আলোয় ঝলমলে পার্কস্টিটে অসংখ্য মানুষ ভিড় জমাবেন। তবে এই উৎসবের আগেই ক্রিসমাসের আনন্দে মেতে উঠলো সার্দান এভিনিউ এর পথশিশুরা। পড়শোনার পাশাপাশি তারা যে হাতের কাজ করেছে সেই হাতের কাজ নিয়েই রবিবার গড়ে তোলা হয়েছিল এক মার্কেট। ক্রিসমাস এর মার্কেট। তবে শুধু পথ শিশুদের নয়, বীরভূমের প্রত্যন্ত আদিবাসীগ্রামের মেয়েদের তৈরি হস্তশিল্পও ছিল সেখানে। কাপড়ের ব্যাগ, পোড়ামাটির জিনিস, টেবিল ক্যালেন্ডার, কোস্টারের উপর রঙ তুলির সাহায্যের অসাধারণ চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে তারা। যা মুগ্ধ করেছে এই মার্কেটের আসা মানুষদের। শহর কলকাতায় এই ধরনের একটি মার্কেট মন ছুঁয়েছে শহরবাসীর। এই ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা। এই বাজার থেকে যা আয় হবে তা ওই পথশিশুদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে ব্যায় হবে বলে জানান উদ্যোক্তারা। পথশিশুদের একটি সুস্থ জীবন দিতে পড়াশোনা করার সুযোগ করে দিতে এই ধরনের উদ্যোগ আরও নেওয়া উচিত বলে মত এই ক্রিসমাস বাজারে আসা মানুষদের।