আচমকা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জারি এক নির্দেশিকা আর তাতেই মাথায় হাত চিকিৎসকদের একাংশের কারণ তাদের দিতে হবে ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ।
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: ৬/৪/২২ সালে যে নোটিফিকেশন জারি হয়েছিল তাতে বলা হয় সিনিয়র চিকিৎসকদের বিভিন্ন জেলা এবং সাব ডিভিশনের হাসপাতালে পোস্টিং হবে যাতে গ্রামের মানুষ ভালো ভাবে পরিষেবা পান। এমডি এমএসের কোর্স শেষ করে সরকারি হাসপাতালে এক বছরের বাধ্যতামূলক বন্ড সারভিসের পর তাদের জেলার হাসপাতালে পোস্টিং হবে।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু হাসপাতালে কারডিওলজি জেনারেল সার্জারি প্যাথোলজি ইএনটি বিভাগের সিনিয়র চিকিৎসকদের তাদের প্রথম হাসপাতাল থেকে রিলিজই দেওয়া হয়নি ফলে তারা রুরাল হাসপাতালে কাজ করেননি। বলা হচ্ছে যারা এটা করেননি তারা নিয়ম ভেঙেছেন। তাদেরকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
দুর্নীতিমুক্ত স্বাস্থ্য প্রশাসনের দাবিতে সরব হওয়া জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের বিরুদ্ধেই নিজেদের এসআর শিপ এবং বন্ড সার্ভিসের সময় অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই কথা হচ্ছে। বন্ড সার্ভিস দেওয়ার জন্য বিভিন্ন জেলা মহকুমা এবং জেলা স্তরের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে জনস্বার্থে পাঠানো হলেও ৫৬ জন সিনিয়র প্রেসিডেন্ট বা এসআর তা মানেননি। উল্টে যে মেডিক্যাল কলেজ থেকে তারা পোষ্ট গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন, সরকারি নির্দেশকে কাঁচকলা দেখিয়ে বহু সার্ভিসের গোটা সময় কাটিয়ে দিয়েছেন সেখানেই।
সরকারি হিসেবে ‘ওভারস্টে’ করেছেন।আর এইজন্য ৩১ জন জুনিয়র ডাক্তারকে (এসআর) ২০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ জমা দিতে বলল স্বাস্থ্যদফতর। আরও ২৫ জন এসআর-র বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে।
শুধু এতেই ক্ষান্ত হয়নি স্বাস্থ্যদফতর, এইসব সিনিয়র রেসিডেন্টরা সরকারি বদলির আদেশ নামাকে অগ্রাহ্য করেছেন নাকি বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ এবং অধ্যক্ষের নির্দেশেই সেখানে থেকে গিয়েছেন, তদন্ত করতে বলা হয়েছে তাও। কারা কারা বা কোন কোন স্বাস্থ্যকর্তা সরকারি আদেশনামা কার্যকর করতে দেননি, খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে তাও।