শহর পাশে থাকুক না থাকুক, গ্রাম পাশে থাকলে ২০২৬ এর ভোট বৈতরণী পার হওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হবে না রাজ্যের শাসকদল কে। তাই গ্রামের মানুষকে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত দফতরের কাজের উপরেই বেশি ভরসা করছে রাজ্য সরকার। ফলে পঞ্চায়েতের কাজের মূল্যায়নে জোর রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের। নতুন দুই মডিউল তৈরি করে পুরষ্কার ও তিরষ্কার এর মাধ্যমে সরকারের গ্রামোন্নয়নের সুবিধা গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বধ্যপরিকর সরকার।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- গ্রাম বাংলায় পঞ্চায়েতের কাজের মূল্যায়নের জন্য নতুন দুটি মডিউল তৈরি করলো রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর। এই মডিউলের মাধ্যমে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের একেবারে তৃণমূল স্তরে পঞ্চায়েত দফতরের উন্নয়নমূলক কাজের মূল্যায়ন করা হবে। স্থানীয় স্তরে কোন পঞ্চায়েত কোন প্রকল্প কিভাবে বাস্তবায়িত করছে, কতজন মানুষের কাছে তা পৌঁছে দিতে পারছে, কতটা সফল হচ্ছে, সেটা করতে গিয়ে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, স্থানীয় স্তরে উপভোক্তাদের সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে অবহিত করে প্রকল্পের বিষয়ে শিক্ষিত করে তোলা ইত্যাদি। সবকিছুই নির্দিষ্ট মডিউলে আপলোড করতে হবে। আপলোড করা তথ্য বিশ্লেষণ করে যে পঞ্চায়েত সবচেয়ে ভালো কাজ করবে তাদের পুরস্কৃত করা হবে। এমন চিন্তা ভাবনা থেকেই এই দুই মডিউল তৈরি করা হয়েছে।
মডিউল দুটি হলো পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং আই ই সি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা মডিউল। এই দুই মডিউল দুই রকম ভাবে কাজ করবে। প্রথম মডিউলের ক্ষেত্রে যেমন কোন নির্দিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত স্থানীয় স্তরে উন্নয়নমূলক যে কাজ করবে সেই কাজে নতুন কোনো উদ্ভাবনী বিষয় আছে কি না, তা ওই নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের কতটা কাজে লাগছে ইত্যাদি বিষয়গুলো একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এ আপলোড করতে হবে। এরপর সেই তথ্য প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখবে পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদ। তারা ওই কাজের উপযোগিতা বিচার করে ১ থেকে ১০ এর মধ্যে নম্বর দেবে। এরপর রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সেগুলো খতিয়ে দেখে প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্থান নির্ধারন করবে।
দ্বিতীয় মডিউলের মাধ্যমে মূলতঃ গ্রামীন উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে অবহিত করে তাদের শিক্ষিত করে তোলা হবে যাতে তারা প্রতিটি প্রকল্পের মাধ্যমে তারা কি কি পেতে পারেন, তাদের কেমন লাভ হবে এই বিষয় জানতে পারে। মোদ্দা কথা হলো গ্রামের মানুষ কে সরকারী প্রকল্পের সুবিধা ভোগের বিষয়টি অবহিত করা, যাতে তারা তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত না হয়।