ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক: পুলিশের অতিসক্রিয়াতায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোন পর্যাপ্ত প্রমাণ ছাড়াই তড়িঘড়ি এফআইআর রুজু করে তদন্ত শুরু করে ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে রাজ্য। আজ এই মামলার পরর্বতী শুনানি।
আবেদনকারী আশফাকউল্লার আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন যে, আরজি কর কাণ্ডের বিরোধীতায় প্রতিবাদী মুখ এই পড়ুয়া চিকিৎসক, তাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে পদক্ষেপ করছে রাজ্য। পড়ুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর জন্য পুলিশ তাঁর গ্রামের বাড়িতে তল্লাশী চালায়। আইনজীবী বিকাশ দাবি করেন যে কোন আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়াই মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশের এই তদন্ত ও চিকিৎসককে তলব করার বিরুদ্ধে আদালতের হস্তক্ষেপের আবেদন করেন তিঁনি।
এফআইআর-এর পদ্ধতি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি। বিচারপতি ঘোষ বলেন, ‘নূন্যতম তথ্য যাচাই না করেই এক ব্যাক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে দিল পুলিশ। প্রেসক্রিপশন-এর তথ্য ছাড়াই কিভাবে এই মামলা রুজু হল। যে ব্যাক্তি অভিযোগ করছেন তিনি চিকিৎসকের রুগী নন। অভিযুক্ত নিজেকে এমএস ইএনটি পরিচয় দিয়েছেন সেই প্রমাণ কোথায়?’।
রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষন্য বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে পড়ুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধ ভুয়ো পরিচয় ও প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে। রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিল জানিয়েছে যে অভিযুক্ত চিকিৎসক এমএস পাশ করেছে এরকম কোন তথ্য নেই। তদন্তে উঠে এসেছে যে অভিযুক্ত পড়ুয়া চিকিৎসক সিঙ্গুরের এক বেসরকারি ক্লিনিকে নিজেকে এমএস বিশেষজ্ঞ পরিচয় চিকিৎসা করছেন আশফাকউল্লা। ৫টা প্রেসক্রিপশন পাওয়া গেছে বলে জানান রাজ্যের আইনজীবী।