সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- বার্ধক্যজনিত রোগে গত ২৬ শে ডিসেম্বর পরলোক গমন করেছেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং। তাঁর মৃত্যু পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে তাঁর স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা নিয়ে। এনিয়ে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলি দেশের শাসক দলের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। তবে বিরোধীদের চুপ করাতে কেন্দ্রের তরফ থেকে ৩ টি জায়গাকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে স্মৃতিসৌধ নির্মাণস্থল হিসাবে। এই ৩ টি এলাকা হল- একতা স্থল, বিজয় ঘাট এবং রাষ্ট্রীয় স্মৃতিস্থল। এই ৩ জায়গার মধ্যে যেকোন একটিতে হতে পারে ডঃ মনমোহন সিংয়ের স্মৃতিসৌধ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, নগর উন্নয়ন মন্ত্রক এবং সিপিডব্লুডি (CPWD)-র অভ্যন্তরীণ বৈঠকে এই ৩ জায়গাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পূর্বে এই ৩ জায়গায় একাধিক স্মরনীয় মানুষের সমাধি রয়েছে। একতা স্থলে রয়েছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জৈল সিং-য়ের সমাধি। রাজঘাট সংলগ্ন রাস্তার উপর অবস্থিত বিজয় ঘাটে রয়েছে দেশের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর সমাধি। যমুনা নদীর তীরে রাজঘাট সংলগ্ন বিজয় ঘাট এলাকা। যেখানে জওহরলাল নেহরু থেকে ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীর স্মৃতিসৌধ রয়েছে। এখানেই মনমোহন সিংয়ের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় স্মৃতিস্থল দেশের প্রয়াত গুরুত্বপূর্ণ জননেতাদের সমাধি নির্মাণের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। সৌধ নির্মাণের কাজে ট্রাস্টি বোর্ডে কারা থাকবেন, তার সিদ্ধান্ত নেবেন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পরিবার। তাঁদের উপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের। গত ২৬শে ডিসেম্বর মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণের পর স্মৃতিসৌধ নির্মাণের বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। এই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা করে কংগ্রেস। এমনকী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠিও দেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। স্মৃতিসৌধ তৈরীর দাবি রাখেন তিনি। স্মৃতিসৌধর স্থানে শেষকৃত্য করার দাবিও জানানো হয়। যদিও প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য হয় নিগমবোধ ঘাটে। এই নিয়েই বিতর্কের সৃষ্টি হয়। মনমোহন সিংকে যোগ্য সম্মান দেওয়া উচিত ছিল সরকারের, যা তারা দেয়নি বলে কটাক্ষ করেন রাহুল গান্ধী।