এক প্রসূতির প্রাণ চলে যাওয়ার পরেও হুঁশ ফেরেনি। সরকারি নির্দেশকে তো ডোন্ট কেয়ার। রমরমিয়ে চলছিল সেই নিষিদ্ধ স্যালাইনেরই ব্যবহার। তবে শনিবার ফের নির্দেশিকা জারির পর অবশেষে হল কাজ। সোমবার এসএসকেএম হাসপাতাল সহ বিভিন্ন জায়গায় সরানো হল সেই বিতর্কিত স্যালাইন
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: যে পদক্ষেপ সোমবার নেওয়া হল এসএসকেএম সহ বিভিন্ন হাসপাতাল জুড়ে সেটা আরও আগে করা হলে হয়তো অকালে চলে যেতেন না মামণি রুইদাস। আরও বড় অঘটনের আগে অবশেষে সেই বিষাক্ত আরএল স্যালাইন সরানো হল হাসপাতাল থেকে।
সোমবার সকালেই এসএসকেএম হাসপাতালের সেন্ট্রাল মেডিসিন স্টোরে এল লখনৌতে অবস্থিত একটি কোম্পানির তৈরি নতুন রিঙ্গার ল্যাকটেট ইনফিউশন। রাজারহাটের ইন্ডিয়ান ড্রাগ হাউস কোম্পানির পক্ষ থেকে এই স্যালাইন সাপ্লাই করা হয়েছে। এর পাশেই দেখা গেল থরে থরে সাজানো পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিটিক্যাল এর তৈরি নিষিদ্ধ রিঙ্গার ল্যাকটেট ছাড়াও অন্যান্য স্যালাইন।
এদিন বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ওই বাতিল আরএল গুলি বাইরে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে বাতিল হওয়া স্যালাইন বার করে আনার কাজ শুরু হয়েছে। শুধু মহিলা এবং শিশু বিভাগ থেকেই নয়, অন্যান্য ওয়ার্ড থেকেও স্যালাইন বার করে আনার কাজ চলছে। হাসপাতালের কর্মীরা জানাচ্ছেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই এই কাজ করা হচ্ছে।