২জানুয়ারি বই দিবস। তারপর থেকে শুরু হয়ে যাবে নয়া শিক্ষাবর্ষ। নয়া শিক্ষাবর্ষে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কড়া নির্দেশিকা। শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও মানতে হবে একাধিক কড়া নিয়ম। এখন থেকে আর ১০ টা ৪০ নয়, প্রতিদিন সকাল ১০:৩৫ এর মধ্যে এখন স্কুলে ঢুকতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক নতুন বছর শুরু। নতুন বছরের নয়া শিক্ষাবর্ষে কড়া নির্দেশিকা। আগামী বছরের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার এবং টিচার্স ডায়েরি প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাতে পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন, ক্লাসের সময়, নম্বর বিভাজনের পাশাপাশি আরও কয়েক দফা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এবারের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার ও টিচার্স ডায়েরিতে শিক্ষকদের স্কুলে আসার বিষয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ পর্ষদের। এগিয়ে এল স্কুলে প্রবেশের সময়। এবার থেকে শিক্ষকদের সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের পরিবর্তে ১০টা ৩৫ মিনিটে স্কুলে প্রবেশ করতে হবে। প্রার্থনা শুরু হবে ১০টা ৪০ মিনিটে। প্রার্থনা শেষ হবে ১০টা ৫০ মিনিটে।তার পরে কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুলে ঢুকলে ‘লেট মার্ক’ দেওয়া হবে। আর যদি কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা বেলা সওয়া ১১টার পরে স্কুলে ঢোকে তাহলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে ‘অনুপস্থিত’ হিসেবে গণ্য করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের স্কুলে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত থাকতে হবে। এছাড়া টিচার্স ডায়েরিতে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ে শিক্ষকদের দায়িত্বও বিস্তারিত ভাবে বলা হয়েছে । তবে এই নির্দেশিকা ঘিরে বেশ কিছু বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। যেমন শনিবার অর্ধদিবস হয় আবার কোনও সময় আগাম ছুটি হলে কী করতে হবে সেই নিয়েই বেঁধেছে বিভ্রান্তি। এছাড়া আরও একটি বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি বেঁধেছে। তা হল মোবাইল ফোন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, পড়ুয়ারা স্কুলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। পাশাপাশি শিক্ষকেরা ক্লাসে অথবা পরীক্ষাগারে মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না। পাশাপাশি পড়াশোনা সংক্রান্ত কোনও কাজে ক্লাসে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হলে প্রধান শিক্ষকের অনুমতি প্রয়োজন। তবে শিক্ষকমহলের একাংশের বক্তব্য,
চলতি বছর থেকে ‘পড়াশোনা সুবিধার্থে’ একাদশ শ্রেণি থেকে পড়ুয়াদের মোবাইল দেওয়া হচ্ছে। তা হলে তারা কি স্কুলে সেই মোবাইল ফোন আনতে পারবে? যদিও এনিয়ে নির্দেশিকায় কিছু উল্লেখ নেই।