সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- আবারও নিরাপত্তা বাহিনী ও মাওবাদীদের গুলির লড়াইয়ে খতম ১৪ মাওবাদী। ছত্তীসগড়-ওড়িশা সীমান্তের গারিয়াবান্দ জেলায় মাওবাদী নিকেশ অভিযানে মৃত্যু হয় মাওবাদীদের। সোমবার রাত থেকে শুরু হয় গুলির লড়াই, যা এখনও জারি রয়েছে। মঙ্গলবার এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৪জন মাওবাদী মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে ২ মহিলা মাওবাদী সদস্য রয়েছে বলে দাবি পুলিশের। মৃতদের মধ্যে ১ মাওবাদীর মাথার দাম ১ কোটি টাকা বলে আগেই ঘোষণা করা হয়। জয়রাম ওরফে চালপতি নামে ওই মাওবাদী নেতা ছত্তীসগড়-ওড়িশা এলাকায় কুখ্যাত।
ছত্তীসগড়-ওড়িশার সীমান্তবর্তী মৈনপুর থানা এলাকার ওই জঙ্গলে মঙ্গলবারেও সংঘর্ষ জারি থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চূড়ান্ত হারে সংঘর্ষ চলছিল যা এদিন বেলা বাড়ার পর কিছুটা কমে। এই সংঘর্ষে মাওবাদী নিকেশ উদ্দেশ্যে গঠিত নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ কোবরা বাহিনীর ১ কমান্ডার আহত হন। সোমবার রাতের অভিযানে মাওবাদীদের থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, বারুদ ও দেশি বিস্ফোরক উদ্ধার করা গেছে বলে দাবি যৌথ বাহিনীর। এখনও যে সব মাওবাদীরা গা ঢাকা দিয়েছে তাঁদের খোঁজ চালাতে ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। কমপক্ষে ৬০ জন মাওবাদী ছত্তীসগড়-ওড়িশা সীমান্তের ওই জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে বলে অনুমান নিরাপত্তা বাহিনীর। তাদের নাগালে পেতে অভিযান জারি রয়েছে। অভিযানে নেমেছে প্রায় ১০০০ আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান। সূত্র মারফত খবর ছিল, ওড়িশার নপাড়া জেলা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে ছত্তীসগড়ের কুলাড়িঘাট সংরক্ষিত বনাঞ্চলে মাওবাদীরা লুকিয়ে রয়েছে। সেই খবর পাওয়ার পরই অভিযান চালানো হয়। রবিবার রাত থেকে তল্লাশি অভিযানে শুরু করা হয়। পরের দিন অর্থাৎ সোমবার রাত থেকে শুরু হয় সংঘর্ষ।