ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক: অভয়ার বাবার আইনজীবী সুদীপ্ত মৈত্র অভিযোগ করলেন তাদেরকে আবেদনের কপি পাঠানো হয়নি।
রাজ্যের এজি কিশোর দত্ত –
দিল্লী পুলিশ এসটাবলিসমেন্ট এক্টের ৪১৭ এর (২) ধারা অনুযায়ী রাজ্যও আপিল জানাতে পারে আসামীকে যদি বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দেওয়া হয় ।অথবা নিম্ন আদালত যে শাস্তির নির্দেশ দিয়েছে সেটা যদি যথাযথ না মনে হয়। এক্টের ৩৭৭ অনুযায়ী কেন্দ্র তদন্ত করছে এই ধরনের মামলায় তারাই আপিল করতে পারে।কিন্তু তারা রাজ্যের পিপি(পাবলিক প্রসিকিউটারকে) অনুমতি দিতে পারে এই ধরনের আপিলে যদি শাস্তি উপযুক্ত না হয়।
বিচারপতি দেবাংশু বসাক –
বিএনএস এস (BNSS) ৪১৮ অনুয়ায়ী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যদি আপিল না করে একমাত্র তখনই রাজ্য আপিল করতে পারে তদন্তের অগ্রগতির স্বার্থে।রাজ্যের এজি- সিবিআইকে বিশেষ ক্ষেত্রে তদন্তের অধিকার দেওয়া মানেই রাজ্যের অধিকার উবে যায় না। আইন অনুযায়ী পিপির(পাবলিক প্রসিকিউটরের) অধিকার আছে আপিল করার।
সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী এস ভি রাজু (এডিশনাল সলিশিটর জেনারেল) –
মামলার সমস্ত রেকর্ড, কেসডাইরি সব কিছু সিবিআইয়ের হাতে। ১৩ অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ কলকাতা পুলিশের হাত থেকে তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করেছিল। সিবিআই ৭ অক্টোবর চার্জশিট পেশ করে।১৮ জানুয়ারি নিম্ন আদালত রায় ঘোষণায় দোষী সাব্যস্ত করে সঞ্জয় রায়কে।নিম্ন আদালতে রাজ্য কোন আবেদন পর্যন্ত করেনি এই মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে।রাজ্য সিবিআইকে সহযোগিতা করার ও কোন চেষ্টা করেনি।এই ধরনের মামলায় রাজ্যের আপিলের এক্তিয়ারই নেই।
বিচারপতি বসাকের প্রশ্ন – যদি সিবিআই কোন আপিল না করে।তাহলে রাজ্যের কি অধিকার নেই আপিল করার?
এসভিরাজু – না আইনগত দিক থেকে রাজ্যের অধিকার নেই।
বিএন এস ১৮ (৮) এ অনুয়ায়ী সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী অমাজিৎ দে কে পিপি হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানালেন এসভি রাজু।
সঞ্জয় রায়ের তরফে আইনজীবী যশ জালান নামে এক আইনজীবীর আদালতে দাবি সে সঞ্জয়ের হয়ে হাইকোর্টে সওয়লা করবে।
কিন্তু অন্য এক আইনজীবী কৌশিক গুপ্ত তিনি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে জানালেন সঞ্জয় রায়ের হয়ে সওয়াল করার জন্য তাকে ওকালত নামা দেওয়া হয়েছে। যশ জালান নামের ঐ ব্যাক্তিকে তার পক্ষে সওয়াল করার সন্মতি দেয়নি সঞ্জয় নিজেই। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বার রাশিদি রায়দান স্থগিত রাখেন।