গোটা রাজ্যের মানুষ চোখ রেখেছিলেন টেলিভিশনের পর্দায়,অগনিত মানুষ ভিড় জমিয়েছেন তখন শিয়ালদহ আদালতের সামনে। কি রায় হবে? তবে রায় শুনে হতাশ প্রায় সকলেই।
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: বিচারক তখন জানিয়ে দিয়েছেন আরজিকর কাণ্ডে সঞ্জয় রায়ই দোষী। তার বিরুদ্ধে যে যে ধারায় মামলা হয়েছে তার জেরে আমৃত্যু কারাবাস কিংবা ফাঁসির সাজা হতে পারে তার। সেটা শুনে রীতিমতো হতাশ বাকিরা, উত্তেজনার পারদ আরও চড়ল সকলের মধ্যে।
সকলেই বলছেন এই কাজ সঞ্জয়ের পক্ষে একা করা সম্ভব না। হয়তো সঞ্জয় দোষী কিন্তু ওর আড়ালে লুকিয়ে আছে আরও মাথা। তাদেরকেও সামনে আনা হোক। কেউ বলছেন এটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয় যে আদালত আর কাউকে দোষী সাব্যস্তই করতে পারল না। কেউ বলছেন মহিলা হিসাবে এই রায় তাদের কাছে লজ্জার। ভাবতে অবাক লাগছে এই রাজ্য তার বাসভূমি। কেউ জানালেন সঞ্জয়কে ফাঁসিয়ে দিয়ে বড় মাথারা আড়ালেই রইলেন।
এর আগে হেতাল পারেখকে খুন এবং ধর্ষণ কাণ্ডে ফাঁসি হয় ধনঞ্জয়ের। সেই নিয়েও এরকমই উত্তাল হয়েছিল গোটা রাজ্য। আজও অনেকে মনে করেন ধনঞ্জয় দোষী ছিলেন না তাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে আর এবার সঞ্জয়ের ক্ষেত্রেও তাই। অনেকেই জানালেন সঞ্জয় তো ধনঞ্জয়ই।
২০২৪ সালের ৯ই আগস্ট থেকে বারবার দাবি উঠেছে জাস্টিসের, সাধারণ মানুষ তাদের সহ নাগরিকের জন্য বিচার চেয়ে দিনের পর দিন লড়াই করেছেন রাজপথে। শনিবার তারাও হতাশ। এদিন বিকেলে তখন হালকা ঠান্ডার আমেজ। মনখারাপের আকাশ, রাস্তায় গাড়ির ঢল— সবের মধ্যেই যেন এক প্রশ্ন লুকিয়ে ছিল, বিচার পেলেন তিলোত্তমা?