দক্ষিণরায়ের আগমবে আতঙ্কে কুলতলির মৈপীঠের গুড়গুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দারা। একেবারে গৃহস্থের দুয়ারে এসে হাজির রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। যার গর্জনে ঘুম ছুটেছে গ্রামবাসীর।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: দুয়ারে দক্ষিণরায়। যার ভয়ে কাঁপছে কুলতলির মৈপীঠের গুড়গুড়িয়া গ্রাম। কিছুদিন আগে জিনতের আগমনে ঘুম ছুটেছিল বনদফতরের। ওড়িশার সিমলিপালের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে পড়ে তিন বছরের জিনাত। সেখান থেকে জঙ্গল পেরিয়ে বাংলায় ঢুকে পড়ে সে। বেলপাহাড়ি রেঞ্জের ওদলচুয়া সংলগ্ন মাছগেড়িয়ার জঙ্গলে ঢুকে পড়ে জিনত। জিনতকে ধরতে হিমসিম খেতে হয়েছিল বনদফতরের কর্মীদের। অবশেষে বাঁকুড়ার জঙ্গল থেকে জিনতকে ঘুমপাড়ানি গুলি মেরে ধরা হয়। জিনতের আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই ফের দক্ষিণরায়ের হুঙ্কার। এবার রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার সোজা গৃহস্থের দুয়ারে! আর এই বেঙ্গল টাইগারের হুঙ্কারে রীতিমত ভয়ে কাঁপছে কুলতলির মৈপীঠের গুড়গুড়িয়া গ্রামবাসী। শনিবার গভীর রাতে গৃহস্থের বাড়ির উঠোনে হাজির হয় দক্ষিণরায়। সংশ্লিষ্ট বাড়ীর লোকজনের বক্তব্য, উঠোনে দাঁড়িয়ে গর্জন করছিল সে। তবে গর্জনের পর নিজেই অবশ্য ফিরে যায়। রবিবার সকালে উঠোনে দক্ষিণরায়ের পায়ের ছাপ ও নখের আঁচড় দেখে আতঙ্কে কাঁটা স্থানীয়রা। আবার তাঁর আগমন ঘটবে কিনা তাই নিয়ে চিন্তায় গ্রামবাসীরা।
শনিবার রাতে কুলতলির মৈপীঠ কোস্টাল থানার গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী অঞ্চলের মধ্য গুড়গুড়িয়ায় জন্মেজয় গিরির পরিবারের বাস। তাঁর বা়ড়িতেই নাকি হানা দেয় দক্ষিণরায়। রাত আটটা কুড়ি মিনিট নাগাদ জন্মেজয়ের ছেলের বউ দেবীকা গিরি বাড়ির মধ্যে শুয়ে ছিলেন। তখনই বাড়ির উঠোনে আগমন হয় বাঘটির। বাঘের গর্জনে যেমন আতঙ্কে এখন গিরি পরিবার তেমনি অন্যান্য গ্রামবাসীরা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মৈপীঠ চত্বরে একের পর এক বাঘের আগমন ঘটছে। গত রবিবারও একটি বাঘকে খাঁচাবন্দি করা হয়েছিল। তার আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই ফের কুলতলিতে দক্ষিণরায়ের হানা। এই নিয়ে প্রায় ১৭বার বাঘের দেখা মিলল কুলতলির একাধিক জায়গায়। গ্রামবাসীর বক্তব্য, রাতেই বনদপ্তর ও কুইক রেসপন্স টিমের সদস্যরা এলাকায় এসে ঘোরাফেরা করেছে। গ্রামবাসীদের সুরক্ষায় বনদপ্তর থাকলেও বাঘের আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না গ্রামবাসীদের।