নিষিদ্ধ স্যালাইন ব্যবহারে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতরের গাফিলতি মেনে নিলো নবান্ন। বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন মুখ্যসচিব।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিষিদ্ধ স্যালাইন ব্যবহারে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের পথে হাঁটতে চলেছে নবান্ন। সোমবার দফায় দফায় বৈঠকের পর সন্ধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানান, “মেদিনীপুরের ঘটনায় একটা গুরুতর গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা এমনটাই মনে করছি।” ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট এখনও স্বাস্থ্য দফতর থেকে জমা না পড়লেও প্রাথমিক যে রিপোর্ট নবান্নে জমা পড়েছে তার উপর ভিত্তি করে নবান্ন মনে করছে ওইদিন অপারেশন এর কাজে ট্রেনি চিকিৎসকরা যুক্ত ছিলেন।একজন সিনিয়র চিকিৎসক থাকা উচিৎ ছিলো। ট্রেনি চিকিৎসক সহ সিনিয়র চিকিৎসকদের ভূমিকা খতিয়ে দেখার জন্য শুধু বিভাগীয় তদন্ত নয়, সিআইডি তদন্তের ও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই খবর জানিয়ে মুখ্যসচিব বলেন, “আমরা কোনো গাফিলতি বরদাস্ত করবো না। যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।”
সোমবার স্যালাইন কান্ড নিয়ে নবান্নে দফায় দফায় বৈঠক হয়। মুখ্যসচিবের তলব পেয়ে নবান্নে আসেন স্বাস্থ্য দফতরের সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের কয়েকজন আধিকারিক। সেখানে বিভাগীয় তদন্তের বিষয়ে মুখ্য সচিবকে জানান স্বাস্থ্য সচিব। সূত্রের খবর, বৈঠকে নিষিদ্ধ স্যালাইন ব্যবহার নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যসচিব। প্রাথমিক রিপোর্ট আজকেই জমা দেওয়ার কথা বলেন। এরপর স্বাস্থ্য ভবনে ফিরে যান নিগম। বেশকিছুক্ষণ পর ফের নবান্নে আসেন তিনি। এবার প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়ে। সূত্রের খবর, দ্বিতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রী নিজে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁর কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিষয় জানতে চান। তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও খোঁজ খবর করেন। শোনা যাচ্ছে ওই বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে পড়েন স্বাস্থ্য সচিব। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন যারা যারা এই কান্ডে জড়িত তাদের কাউকেই যেন ছাড়া না হয়। বলা যেতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।