ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক: কলকাতার যোগেশ চন্দ্র ল কলেজের সরস্বতী পুজায় জয়েন্ট কমিশনার মর্যাদার আধিকারিককে নিরাপত্তায় নজরদারি করতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
ডে কলেজ ও ল কলেজের আলাদা আলাদা পুজার নির্দেশ।এবং গোটা পুজার ভিডিও গ্রাফী করতে হবে কলেজ কতৃপক্ষকে।
যোগেশচন্দ্র ল কলেজের সরস্বতী পুজায় পুলিশকে নির্দেশ যাদের এফয়াইয়ের নাম রয়েছে তাদের যেন কলেজে ঢুকতে না দেওয়া হয়। ডে কলেজ এবং ল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরাই পুজা করতে পারবে।
চারুমার্কেট থানাকে নির্দেশ ডে কলেজের কলেজের ভিতরে অবৈধ প্যান্ডাল আগামীকাল বেলা ১২ টার মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ।পুলিশকে ভিডিও করতে নির্দেশ।কলকাতার জয়েন্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার নজর রাখবে এবং পর্যাপ্ত পুলিশের নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করবে যাতে শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত না হয়।
পুজার সময়ের ভিডিও গ্রাফী করতে নির্দেশ কলেজ কতৃপক্ষকে।
৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ২ টোর সময় ফের শুনানি মামলার।ল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা পুজা করতে দেওয়া হচ্ছে না দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অভিযোগ ছাত্র ছাত্রীরাই পুজা করতে পারছে না। বহিরাগতরা সেখানে প্যাণ্ডাল বেঁধে পূজা করছে।
সপ্তাংশু বসু মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী হিসাবে বলেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যাদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ ছিল তাদেরকে কলেজে ঢুকতে না করে,নির্দেশ দিয়েছিলো। তার পরেও আদালতের নির্দেশ মানা হচ্ছে না। ল কলেজের পুজো যেখানে আয়োজন হচ্ছে,ডে কলেজের বহিরাগত প্রাক্তন ছাত্ররা সেখানেই পুজোর আয়োজন করে ল কলেজের পুজো বন্ধ করার চেষ্টা করছে।
ডে কলেজের তরফে আইনজীবী অর্ক নাগ বলেন, অধ্যক্ষের কাছে, কলেজের সিকিউরিটি সংক্রান্ত কোন পাওয়ার নেই। তিনি হেল্পলেস। যেই প্রফেসরকে পুজোর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো,তার থেকে পুজোর টাকা ছিনতাই পর্যন্ত করে নেওয়া হয়। তারপর সেই প্রফেসর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান। এই প্যান্ডেল ডে কলেজের ছাত্ররা করেনি। বহিরাগতরা করেছে।
রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষান্য ব্যানার্জি বলেন, এটা ৫০ বছরের পুরোনো পুজো। আমি নিজে জিএস থেকে পুজো করিয়েছিলাম। বহিরাগত হস্তক্ষেপ ছিলো না।