ফের ঘর ওয়াপসি প্রণবপুত্রের। বুধবার কংগ্রেস দলের পতাকা হাতে নিয়ে যোগ দিলেন তিনি।দলে ফিরে জানান, কংগ্রেস ছাড়া তাঁর অরাজনৈতিক ভুল ছিল। তাঁর দাবি, বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কংগ্রেস ছাড়া কোনও বিকল্প নেই।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : ৪ বছরের ব্যবধানে ঘর ওয়াপসি প্রণবপুত্রের। বুধবার রাজ্য কংগ্রেসের সদর দপ্তরে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের হাত ধরে কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের। দলে ফিরে জানান, কংগ্রেস ছাড়া তাঁর অরাজনৈতিক ভুল ছিল। তাঁর দাবি, কংগ্রেস ছাড়া ভারতবর্ষে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে নিয়ে চলা কঠিন। অর্থাৎ বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কংগ্রেস ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যেই এই প্রত্যাবর্তন বলে জানিয়েছেন প্রণবপুত্র। ২০২৬ এ এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। অনুমান করা হচ্ছে, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট পেতে পারেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় । তাই তৃণমূলকে বিদায় দিয়ে ‘হাত’ শিবিরে অভিজিৎ। ২০২১ সালে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন অভিজিৎ। তৃণমূলে যোগ দিয়ে তিনি মানুষের জন্য কাজ করতে চান এমনই জানান। কিন্তু রাজ্যের শাসকদলে যোগদান করে সেভাবে তাঁকে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি।এমনকি তাঁকে লোকসভা বা বিধানসভা কোনও নির্বাচনেই প্রার্থী করা হয়নি। কাজের সুযোগ না পেয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফের হাত শিবিরে ফিরলেন অভিজিৎবাবু। সূত্রের খবর, আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দিতে পারে হাত শিবির।
তৃণমূলে গিয়ে কাজের সুযোগ না পেয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন প্রবণপুত্র। সূত্রের খবর,কিছুদিন আগে তিনি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে কংগ্রেসে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন । তাঁর সেই ইচ্ছায় অনুমোদন দেওয়ার পরই প্রদেশে প্রত্যাবর্তন। প্রণব মুখোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি হয়ে যাওয়ার পর তাঁর ছেড়ে যাওয়া কেন্দ্র জঙ্গিপুর থেকে উপনির্বাচনে জিতে কংগ্রেস সাংসদ হন তাঁর পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। ২০১৪ সালে ফের জঙ্গিপুর থেকে সাংসদ হন। কিন্তু ২০১৯ সালে জঙ্গিপুরে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন অভিজিৎ। তার পর থেকেই কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। তৃণমূলে যোগদান করেও কাজের সুযোগ না পেয়ে নিষ্ক্রিয়ই ছিলেন তিনি। তাই ফের কংগ্রেসে ওয়াপসি করলেন তিনি।অভিজিৎ বলেন, “বিজেপির বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেস ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। আজ এই সময়েও ভারতের প্রতিটি গ্রামে অন্তত এক থেকে দুইজন কংগ্রেসি পরিবার রয়েছেন। আমার দায়িত্ব থাকবে। কংগ্রেসের প্রতি তাঁদের আস্থা ফিরিয়ে আনার।”