মাম্পি রায়, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কথায় বলে ‘রাখে হরি মারে কে’। ঠিক এমনই ঘটনার সাক্ষী হলেন বছর ২৪-এর যুবক অ্যাড্রিয়ান সিমানকাস। চিলির বাহিয়া এল আগুইলায় সমুদ্রে বাবার সঙ্গে কায়াকিং করছিলেন অ্যাড্রিয়ান। ছেলের থেকে খানিকটা দূরেই ছিলেন বাবা। ঠিক তখনই ঘটে যায় অঘটন। হঠাৎ করে তাঁদের সামনে এসে পড়ে এক বিশাল হাম্পব্যাক তিমি। বাবার চোখের সামনেই কায়াক সমেত গিলে নেয় অ্যাড্রিয়ানকে। যদিও কিছুক্ষণ পরই বমি করে দেয় ওই তিমি। লালার সঙ্গে অ্যাড্রিয়ানও তিমির মুখ থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে। এ যেন যমের মুখ থেকে ফিরে আসা। হলিউড সিনেমা বললেও কম হবে না। শনিবার, চিলির দক্ষিণতম পাতাগোনিয়া অঞ্চলের ম্যাগেলান প্রণালীর সান ইসিড্রো লাইট হাউসের কাছে এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে। কায়াকিংয়ের সময় থেকেই পুরো ঘটনা রেকর্ড করছিলেন অ্যাড্রিয়ানের বাবা ডেল। ছেলের থেকে একটু দূরেই কায়াকিং করছিলেন তিনি। বাবার করা সেই ভিডিয়োতে দেখা যায় ছেলে কায়াকিং করছেন। হঠাৎ একটা বড় ঢেউ আসে। ওই ঢেউয়ের আড়ালেই ছিল বিশালাকার হাম্পব্যাক তিমি। কায়াক সমেত অ্যাড্রিয়ানকে গিলে খেয়ে নেয় ওই তিমি। কয়েক সেকেন্ড পরেই অ্যাড্রিয়ানকে বমি করে বের করে দেয় তিমিটি। তারপরই তড়িঘড়ি সাঁতরে বোটের কাছে চলে আসেন অ্যাড্রিয়ান। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সেই মুহূর্তের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ডেল। ভয়ঙ্কর সেই অভিজ্ঞতা। কায়াকিংয়ের ভিডিও করতে করতেই হঠাৎ নিজের ছেলেকে তিমির পেটে চলে যেতে দেখেন ডেল। অথচ তাঁর কিছুই করার ছিল না। ছেলে বাঁচবে কি না তাও বুঝতে পারেননি ডেল। কিন্তু সেইসব আশঙ্কা তুচ্ছ করে তিমির পেট থেকে পেরিয়ে নতুন জীবন পেলেন অ্যাড্রিয়ান।
ডেলপুত্র অ্যাড্রিয়ান বলেন, সেইসময় ভেবেছিলাম সব শেষ হয়ে গেল। আমাকে খেয়ে গিলে ফেলেছে তিমি। কিন্তু কয়েক সেকেন্ড পরেই তিনি বুঝতে পারি যে, জলের উপরে ভেসে উঠেছি আমি। তিমিটি বাবা ডেলকেও আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছিলেন তিনি। প্রবল ঠান্ডার কারণে হাইপোথার্মিয়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছিলেন। কিন্তু সেইসব আশঙ্কা উড়িয়ে নিরাপদে ফিরে এসেছেন বাবা ও ছেলে। মৃত্যুর মুখ থেকে কোনওক্রমে ফিরে এলেও ভবিষ্যতে কায়াকিংয়ে না নেই অ্যাড্রিয়ান ও ডেলের।