বানিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ তো কি হয়েছে। সহজ কথা সরল ভাবে বলতে অতসত ভাবার কি আছে। তাই বানিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে উপস্থিত থাইল্যান্ডের প্রতিনিধিকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী নিজের ইচ্ছার কথা জানালেন। বললেন থাইল্যান্ডে যেতে চাই।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- থাই ফুডের প্রশংসা তো বিশ্বব্যাপী। শুধু থাইল্যান্ড নয়, এখন সারা বিশ্বের বড় বড় শহরে অন্তত একটা না একটা থাই ফুডের আউটলেট পাওয়া যাবে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও যে থাই ফুডের এমন ভক্ত তা জানা গেল একেবারে বানিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে।
বুধবার প্রথম অর্ধে বানিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধন হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় অর্ধে সম্মেলনের মূল মঞ্চে চলছিলো আন্তর্জাতিক সেশন। সেখানে বানিজ্য সম্মেলনে আগত ও সহযোগী দেশের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখছিলেন। সঞ্চালনায় ছিলেন অমিত মিত্র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিকে সেখানে ছিলেন না। যদিও ছ’টা নাগাদ তিনি মঞ্চে আসেন। অমিত মিত্রের পাশে বসেই বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের বক্তব্য শুনছিলেন। নেদারল্যান্ডস এর প্রতিনিধি যখন বক্তব্য রাখতে ওঠেন সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর উৎসাহে অমিত মিত্র নেদারল্যান্ডস এর প্রতিনিধির উদ্দেশে বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেদারল্যান্ডস এর ‘দ্য হেগ’ শহরে গিয়েছিলেন ইউনেস্কোর পুরষ্কার নিতে। এর পরপরই বক্তব্য রাখতে আসেন থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি। দিল্লি স্থিত থাই দূতাবাসের কার্যকরী রাষ্ট্রদূত মিঃ থিরাপথ মঙ্গকল্নাভিন (Mr. Thirapath Mongkolnavin) তাঁর বক্তব্য শেষ করার পরই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, থাই ফুড তো খুব বিখ্যাত। আমি একবার থাইল্যান্ডে গিয়েছি। আমি আরেকবার থাইল্যান্ডে যেতে চাই। আপনারা কি ওখানে এই ধরনের কোনো বিজনেস সামিট আয়োজন করেন ? পাশ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র বলেন যে আশিয়ান ভুক্ত দেশের সামিট ওখানে হয়। তখন মুখ্যমন্ত্রী যোগ করেন থাইল্যান্ডে তাঁর এক আত্মীয় থাকেন। পরে অনুষ্ঠান শেষে থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি কে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান যে মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন থাইল্যান্ডে যাওয়ার বিষয়ে। তিনি থাই ফুডেরও খুব প্রশংসা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী কে থাইল্যান্ডে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে?
এই প্রশ্নের উত্তরে মিঃ থিরাপথ মঙ্গকল্নাভিন (Mr. Thirapath Mongkolnavin) বলেন এত তাড়াতাড়ি এই বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। সে যাই হোক, শিল্প সম্মেলনের মঞ্চেও যে মুখ্যমন্ত্রী এমন সরলভাবে নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন তাতে তার সরলতাই ধরা পড়ছে বলে জানালেন এদিন কনভেনশন সেন্টারে উপস্থিত দুই শিল্পপতি। এদিনের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আমাকে অনেক বেশ আমন্ত্রণ জানিয়েছে। জাপান তো আমাকে এসে বারবার করে বলে গেছে আপনি প্লিজ আসুন। আমি বলেছি, ঠিক আছে, আমি সময় দেখে নিয়ে বলবো। আসলে আমাদের এখানে এখন ১৩ মাসে ১০০ টা পার্বন। সবখানেই থাকতে হয়। অনেক আমন্ত্রণ আসে, কিন্তু সব আমন্ত্রণ তো রক্ষা করতে পারি না। কিন্তু বাংলার স্বার্থে কিছু আমন্ত্রণ রক্ষা করা উচিত বলে আমি মনে করি।”