প্রতিবার বাজেট পেশের দিন যে শাড়ি পরেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তার কোন না কোন বিশেষত্ব থাকে। ব্যতিক্রম হ`ল না এইবারেও। এইবারেও এক বিশেষ শাড়িতে সেজে উঠলেন নির্মলা। জানেন কি এই শাড়ির গল্প!
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: একথা অস্বীকার করার উপায় নেই বাজেটে বিহারকে দুইহাত ভরে দিয়েছেন নির্মলা। তাই তার শাড়িতেও রইল সেই বিহারের ছোঁয়া। এদিন তার পরনে ছিল সোনালি জরির পাড়, সাদা রঙের কাসাভু শাড়ি। শাড়ির দুই প্রান্ত জুড়ে বিহারের মধুবনি জেলার মধুবনি কাজ। সঙ্গে গাঢ় লাল রঙের মানানসই ব্লাউজ।যার হাতায় ঠাসা সোনালি জরির কাজ। কপালে ছোট্ট টিপে একেবারে মানানসই ছিমছাম কাজ।
বিহারের মধুবনী শিল্পকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং পদ্ম পুরস্কারপ্রাপ্ত দুলারি দেবীর অনুরোধেই এদিন এই শাড়ি পরেন অর্থমন্ত্রী। ২০২১ সালে দুলারি দেবীকে পদ্মশ্রী সম্মান দেয় মোদি সরকার। এর আগে অর্থমন্ত্রী ক্রেডিট আউটরিচ কার্যক্রমের জন্য মিথিলা আর্ট ইনস্টিটিউটে গিয়েছিলেন। যেখানে তিনি দুলারি দেবীর সঙ্গে দেখা করেন৷ পরে অর্থমন্ত্রীকে একটি শাড়ি উপহার দেন দুলারি দেবী। দুলারি দেবী বাজেট অধিবেশনে পরার জন্যই এই শাড়িটি বিশেষভাবে তৈরি করেন। অর্থমন্ত্রীকে তিনি অনুরোধ করেন বাজেট পেশের দিনেই এই শাড়িটা পরার জন্য। তাই সেই অনুরোধ মেনেই এদিন এই শাড়িটি পরেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য প্রতিবছরেই বাজেটের দিন আলাদা ভাবে নজর কাড়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের শাড়ি। গত বছর তিনি পরেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের অফ-হোয়াইট মঙ্গলগিরি শাড়ি। ওই বছরেই অন্তর্বর্তী বাজেটের সময় তার পরনে ছিল নীল রঙের হ্যান্ডলুম শাড়ি। ২০২৩ সালে ঘন লাল রঙের কালো-সোনালি রঙের টেম্পল বর্ডার শাড়িকে বেছে নেন নির্মলা। ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বেছে নিয়েছিলেন ঘন বাদামি রঙের বোমকাই শাড়ি। ২০২১ সালে বাজেট পেশের সময় তার পরনে ছিল তেলেঙ্গানার পোচমপল্লি।