বুধবার চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজ্য বাজেট পেশ করতে চলেছেন রাজ্য বিধানসভায়। তার আগে যে দুটি বিষয় এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে তা হলো লক্ষ্মীর ভান্ডার এর জন্য অর্থ বরাদ্দ বাড়ছে কি না, আর রাজ্য সরকারি কর্মিদের মহার্ঘ্য ভাতার কোন ঘোষণা রাজ্য বাজেটে হয় কি না। বাজেট ঘোষণার ঘন্টাখানেক আগে অবশ্য যা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে তাতে এই দুটোর কোনটাই হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- গত আর্থিক বছর অর্থাৎ ২০২৪/২৫ আর্থিক বছরের বাজেট পেশের সময় অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা করেছিলেন। তার আগে জানুয়ারি মাসেও ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে ওই আর্থিক বছরে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা প্রায় ৮% মহার্ঘ্য ভাতা পেয়েছিলেন। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক প্রায় ৩৯ শতাংশ। গত বছরের বাজেটের কথা মাথায় রেখে অনেকেই মনে করছিলেন যে এবারের বাজেটে সম্ভবত রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের জন্য কোন মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা হতে পারে। সেই সঙ্গে ২০২৬-এ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এবারের বাজেটে লক্ষীর ভান্ডারেও বেশ কিছু ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধির ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। তবে বুধবার রাজ্য বিধানসভায় যা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বাজেট পেশের আগে, তাতে মনে করা হচ্ছে এই দুই খাতে বাজেটে হয়তো তেমন কোন ঘোষণা থাকবে না।
সূত্রের খবর, সরকার পরিকাঠামো খাতে আরও অনেক বেশি বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে চাইছে। বিশেষ করে উপভোক্তাদের জন্য যেসব সরকারি প্রকল্প গুলো রয়েছে সেইসব প্রকল্প ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি করে সামনের এক বছর সাধারণ মানুষের কাছে আরও অনেক বেশি পরিষেবা পৌঁছে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। তবে লক্ষীর ভান্ডার বা মহার্ঘ ভাতা এখনই বৃদ্ধি না করা হলেও বছর শেষের আগেই আলাদা করে কোন বিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে এই ধরনের কোন ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করতে পারেন। বর্ষীয়ান এক মন্ত্রীর মতে, ভোটের এত আগে থেকে এই ধরনের কোন ঘোষণা করার থেকে, ভোটের তিন চার মাস আগে লক্ষীর ভান্ডার বা মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা করাটা অনেক বেশি লাভজনক। সেটা বরং রাজ্যের শাসকদলকে ইভিএমে অনেক বেশি ডিভিডেন্ট দেবে।