ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক:আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত রক্ষা কবচ বহাল।আগামী ১৮ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি।
অর্জুন সিং ও তার দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে পুলিশি হেনস্থার অভিযোগের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের সঙ্গী প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডে।সেই মামলায় আজকের শুনানিতে মামলার গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলল সরকারি আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়: কোন সেকশন দেওয়া হবে না হবে কগ্নিজেবেল অফেন্স বা নন কগ্নিজেবেল অফেন্স কোনটা দেওয়া হবে তা স্পষ্ট নয়। এই ধরণের আবেদন আদালতের গ্রাহ্য করাই উচিত নয়। প্রত্যেকটা এই ধরণের মামলা আসে আর অর্ডার নিয়ে যায়। অন্তরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার পর মামলা চলতেই থাকে। রাজনৈতিক প্রভাবশালিরা আসে।
আমি ৫০টা এই ধরণের উদাহরণ দিতে পারি। অনেকসময় ধৈর্য বাঁধ হারায়। এখন তাই পরিস্থিতি হয়েছে। ক্রিমিনাল জুরিসডিকশন বেড়েছে। বিচারপতি আসে বিচারপতি যায় কিন্তু প্রতিষ্ঠান ও আইনজীবীরা থাকে। একজন বিচারপতি কোনো প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পারে। এই মামলা আপনি মেরিটের ভিত্তিতে বিচার করুন।
বিচারপতি: আপনি কি অন্য বেঞ্চ এ যেতে চান।
এই মামলাটা নিয়ে আমি ক্লান্ত। আমাকে নাহলে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করতে হতো। আপনার কিছু করার নেই জানি। কিন্তু আমার সুযোগ এসেছে তাই বললাম। আগের অর্ডারে তদন্ত চালিয়ে যেতে বলা হয়। আমি আর বেশি আর্গুমেন্ট বাড়াতে চাইনা।
নির্দেশ: অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশের মেয়াদ 31 মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হল। পরবর্তী শুনানি 18 মার্চ বিকেল চারটের সময়।