বসন্তের বড় প্রকাশ দোল উৎসবে। প্রকৃতির নতুন রঙের সঙ্গে মানুষও একে অপরকে রাঙিয়ে তোলে। কিন্তু মানুষের কাছে যেটা আনন্দের অবলা প্রানীদের কাছে সেটা জীবন- মরণ।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: দোল রঙের উৎসব। তাই এই উৎসবে একে অপরকে রাঙিয়ে দেওয়া হয়। অনেক সময় এই রঙের হাত থেকে বাদ যায় না অবলা প্রাণীরা। বিশেষ করে রাস্তার কুকুর- বিড়ালেরা। দোলের সময় দেখা যায় তাদের গায়ে রঙ লেগে থাকতে। প্রতি বছরই দোলের সময় এক শ্রেণির মানুষ পথ কুকুরদের গায়ে রং ছিটিয়ে ‘মজা’ পান। কিন্তু সাবধান আপনার একটু আনন্দে অবলা প্রাণীটির প্রাণ সংশয় হতে পারে। কারণ রঙে থাকে নানা ধরণের রাসায়নিক পদার্থ। যা সেই সমস্ত প্রাণীদের ক্ষেত্রে খুবই ক্ষতিকারক যারা চেটে নিজেদের গা পরিষ্কার করে। বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী কি কি ক্ষতি হতে পারে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
১)কুকুর চামড়া এতটাই পাতলা যে তাদের গায়ে রঙ দিলে রঙের মধ্যে থাকা নানা ধরণের রাসায়নিক পদার্থ সহজেই কোষের মধ্যে ক্ষতিকর ক্ষতের সৃষ্টি করে। যা তাদের প্রাণ ঘাতক হতে পারে।
২)কুকুরের দেহে দু-ধরনের পরজীবী থাকে। রঙের কারণে সৃষ্ট ক্ষতিকর ক্ষত ওই পরজীবীর মাধ্যমে অন্য কুকুরের গায়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
৩)ঘ্রাণশক্তি কুকুরের প্রধান অস্ত্র। কিন্তু দোলের রঙের বিষাক্ত রাসায়নিকের প্রভাবে তাও দূর্বল হতে পারে।
৪)কুকুর চেটে গা পরিস্কার করে তাই তাদের গায়ে রঙ দিলে, রঙে থাকা রাসায়নিক উপাদান পেটে চলে গিয়ে কুকুরের ক্ষতি হতে পারে।
অবলা প্রানীদের গায়ে রঙ দেওয়া আটকাতে
বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে শুরু করে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে নানা ভাবে সচেতনতামূলক প্রচারও চলে। তবু দোলের দিন দেখা যায় অবলা প্রানীদের গায়ে রঙ দিয়ে মজা করার ঘটনা। তাই এবার যদি রাস্তার কুকুরদের উপর দোল উৎসবের দিন রঙ দিতে দেখেন তাহলে মানবিকতার খাতিরে রঙ দিতে অবশ্যই বারণ করবেন। কারণ অনেকেই হয়ত না জেনে রঙ দেন। একটা কথা সব সময় মনে রাখা উচিত, আনন্দ যেন আনন্দই হয়, কারোর ক্ষতির কারণ না হয়।